প্রকাশিত: ১৮/০৬/২০১৭ ১০:০৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৬:০৪ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক ::
জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে চৌমহুনী মোড়ে জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সিএনজি শ্রমিকরা মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ করে দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ ৮ জন আহত হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চৌমহুনীস্থ চৌরস্তা মোড় ও স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ওই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. ইলিয়াস, ৯ম শ্রেণির ছাত্র অপি, সাজ্জাদ ও ছোটন, ৮ম শ্রেণির শাহেদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তারেক ও কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সকালের কক্সবাজারের সাংবাদিক জুবাইদ।

স্কুল কেবিনেট চেয়ারম্যান মো: রাশেদ জানান, সকালে স্কুল শেষ করে ছাত্র সাজ্জাদ চৌমহুনীতে একটি সিএনজিতে উঠে। টইটং হাজ্বি বাজার যাওয়ার পর সিএনজি ড্রাইভারের সাথে ওই ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই সিএনজি ড্রাইভার স্কুল ছাত্র সাজ্জাদকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় সকাল ১১টায় স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা মিলে ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে চৌমহুনী মোড়ে অবস্থান নেন।

ওই সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদারের নেতৃত্বে এসআই কামরুল হাসানসহ একদল পুলিশ এসে লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করতে করতে স্কুলের মূল ভবনের মাঠে গিয়েও শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ছাত্রসহ ৮/১০ জন আহত হয়। এমনকি ২ শিক্ষার্থীকে মাঠিতে ফেলে পা দিয়ে চাঁপা দিয়ে আহত করে।

জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন পুলিশের এমন ভূমিকার প্রতিবাদ করায় তাকেও পুলিশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়।

সাংবাদিক জুবাইদ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, সকালে স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্ররা প্রতিবাদে সড়ক অবরোধের করার ঘটনায় আমি ছবি তুলতে গেলে পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমাকে অহেতুক মারধর করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে এসআই কামরুল হাসানসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আমার হাতে থাকা ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার পূর্বপশ্চিমকে বলেন, উপজেলার চৌমহুনী মোড়ে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা গাড়ি চলাচলে বাঁধা প্রদান করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলি। অবরোধ ছেড়ে দিতে বলায় পুলিশের উপর ছাত্ররা হামলা করে। এক পর্যায়ে পুলিশও লঠিচার্জ করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়। তবে সাংবাদিক জুবাইদের উপর পুলিশের পক্ষ থেকে হেনস্থা করায় দু:খ প্রকাশ করছি।

শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্কিকার করে কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন পূর্বপশ্চিমকে বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করেনি। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সিএনজি শ্রমিকদের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...

আরাকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী যুবকের মৃ’ত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ...