উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০/০৪/২০২৪ ১০:২৪ এএম

সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবানসহ পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একারণে কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান। বান্দরবান সদর ছাড়াও জেলার দুর্গম ছয় উপজেলা থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, রুমা, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক আসেন।

কয়েক বছর ধরে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়গুলোয় কমিউনিটি ট্যুরিজমের জনপ্রিয়তা বাড়ায় ঈদকেন্দ্রিক পর্যটনে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন হতে দেখা গেছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান জেলায় দেখা দেয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে পর্যটক ভ্রমণে কয়েক দফায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে এখানকার ব্যবসায়ীরা নানা পরিকল্পনা নিলেও সেগুলো বাস্তবায়ন খুব একটা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

পাহাড়ের অস্থিরতায় বাড়তি পর্যটকের চাপ পড়তে যাচ্ছে কক্সবাজারের ওপর।

ধারণ সক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটককে সেবা দিতে কক্সবাজারের প্রায় সাড়ে ৫০০ হোটেল-মোটেল প্রস্তুতি নিলেও সেটি পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের হিসাবে এখানে পর্যটক সেবার সঙ্গে যুক্ত নিবন্ধিত আবাসিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫২০টি। এসব প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ধারণক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার।

তাছাড়া অনিবন্ধিত হোটেল-মোটেল ও সরকারি রেস্ট হাউজসহ আরো অন্তত ৩০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ রয়েছে।

অতীতেও বিভিন্ন সময়ে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ পর্যটক সমাগমের রেকর্ড রয়েছে কক্সবাজারে।

তবে এবার পার্বত্যাঞ্চলের অস্থিরতার পাশাপাশি যাতায়াতে ট্রেন যুক্ত হওয়ায় পর্যটকের আধিক্য অতীতের যেকোনো সময়কে ছাড়াতে পারে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার হোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে কক্সবাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁর সংস্কারকাজ চলছে।

পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামলানো ও ভোগান্তি কমাতে প্রতি বছর ঈদে নতুন বিনিয়োগ করেন মালিকরা। এ বছর ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের টানা দীর্ঘ ছুটির কারণে কক্সবাজারে ভিড় বেশি হবে।

পার্বত্য জেলাগুলোয় অস্থিরতার কারণেও কক্সবাজারে ঈদকেন্দ্রিক পর্যটনের চাপ আসবে।

আমরা বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা রাখার পরিকল্পনা করছি। পাশাপাশি পর্যটকদের ভোগান্তি কমাতে বিশেষ নির্দেশনা ছাড়াও প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হবে।’

এবার কক্সবাজারমুখী পর্যটকের চাপ সামাল দিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

আগে প্রতিদিন চার-পাঁচটি ফ্লাইট চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ২০টি (উভয়মুখী) ফ্লাইট চলাচল করবে কক্সবাজারে।

নিয়মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ চালুর পর থেকেই।

এছাড়া ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে কক্সবাজারের জন্য প্রতিদিন দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে।

আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সরাসরি কক্সবাজারে পৌঁছলেও বিশেষ দুই জোড়া ট্রেন প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে একাধিক স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহন করবে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হোসেন বলেন, ‘‌ঈদের একদিন আগ থেকে কক্সবাজার রুটে চাপ রয়েছে।

ঈদের পরের দিন থেকে কক্সবাজারে দৈনিক ২০টি ফ্লাইট আসবে, ২০টি যাবে।

এবারের ঈদে ছুটিতে পর্যটকের টিকিটের চাহিদা বেশি। এরই মধ্যে আমরা আরো কয়েকটি ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।’

দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটক সমাগম সবচেয়ে বেশি হয় শীত মৌসুমে। এরপর সবচেয়ে বেশি হয় ঈদ-পরবর্তী সপ্তাহজুড়ে।

টানা ছুটির কারণে কক্সবাজারের মতো দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...