প্রকাশিত: ২৭/০৩/২০১৮ ৭:৩৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫৬ এএম

নিউজ ডেস্ক::
গুজব উঠেছিল, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা অং সান সু চি ‘যে কোনো মুহূর্তে অবসরে যেতে পারেন’। তবে রবিবার দলটির এক মুখপাত্র এ গুজবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। খবর ইরাবতির।
এনএলডির মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেছেনÑ খবর বেরিয়েছে, অং সান সু চি অবসরে যাবেন। আমি বলছি, এটা সত্য নয়। তবে দলের কর্মীরা যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, তবেই তিনি অবসরে যাবেন। এটা তিনি (সু চি) সব সময় বলে থাকেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি শিগগিরই অবসরে যাবেন।
এর আগে খবর বের হয়, শনিবার এনএলডির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (সিইসি) সদস্যদের এক বৈঠকে সু চি বলেছেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। নিউন্ত ওই বৈঠকের ব্যাপারে জানান, নেপিদোতে যে বৈঠক হয়েছে, সেটি ছিল শুধু সামাজিক সমাবেশ। সিইসি সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে এ বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ত দেশের শীর্ষ এ পদের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা কার্যনির্বাহী কমিটির পুরনো এবং নতুন সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক আড্ডা দিয়েছি। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এ মুখপাত্র আরও বলেন, ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংবিধানে সংশোধনী আনে। এতে সরকারি কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিধান করা হয়। সে কারণে সামাজিক সমাবেশ অবৈধ নয়।
এনএলডির সংসদ সদস্য ইউ ন্যা মিও তুন বলেন, ধৈর্য এবং প্রভাব বিবেচনায় অবশ্যই তিনি (সু চি) দেশের প্রধান থাকবেন। তার (বয়স এবং কাজের চাপ বিবেচনায়) প্রতি আমাদের সহানুভূতি নেই, বিষয়টি তেমন নয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এতে দ্বিমত করবেন না।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন সু চি। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় পরিশ্রান্ত-ক্লান্ত দেখা যায় ৭৩ বছর বয়সী এ নেত্রীকে। তার সঙ্গে ছিলেন এনএলডির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইউ উইন হতেইন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় অধিকাংশ সময়ই বিশ্রামে কাটিয়েছেন সু চি। মূলত দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে কথা বলা থেকেও বিরত থাকা হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও একটি বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়।

পাঠকের মতামত