

উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নন কমিনিউ কেবল ডিজিজ ( এনডিসি কর্নার) চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা ওষুধ না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। এর ফলে প্রান্তিক এলাকার সুবিধা বঞ্চিত রোগীরা হয়রানির পাশাপাশি সময়ও অপচয় হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নন কমিনিউকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিটি হাসপাতালে এনসিডি কর্নার চালু করেছে। মূলত অসংক্রামক রোগীদের চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয় এ কর্নারে।
উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসংক্রামক রোগীদের জন্য এধরনের এনসিডি কর্নার চালু করা হয়। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডায়বেটিকস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ দেওয়া হয়। এ বিভাগের জন্য একজন আলাদা ডাক্তার অফিস চলাকালীন দায়িত্বও পালন করে থাকেন। রয়েছে নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারী। সেবা নিতে আসা রোগীরা ভালোভাবে চিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছিল। প্রত্যেক রোগীদের কে একটি করে রেজিস্ট্রেশন বই দেয়া হয়।
অভিযোগে প্রকাশ, বিগত চার মাস ধরে, ওষুধ সরবরাহ নাই মর্মে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। রোগীরা যোগাযোগ করলে এক সপ্তাহের পর না হয় পরের সপ্তাহ ওষুধ পাওয়া যাবে এভাবে শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে,কিন্তু কোন আলোর মুখ দেখছে না।
রোগীরা অভিযোগ করে আরো বলেন, বিগত ৪ মাস ধরে এনসিডি কর্নারে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা নানা অজুহাত দেখিয়ে রোগীদেরকে আশ্বাস দিছে । এভাবে আশ্বাস পেয়ে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার কারণে রোগীদের অর্থের অপচয় ও সময় নষ্ট হচ্ছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাজেদুল ইমরান শাওনের দায়িত্ব পালনের অবহেলার অভিযোগ করেছেন অনেকেই। হাসপাতালের সার্বিক বিষয়ে তার তদারকি ও মনিটরিং কথাও থাকলেও তা সঠিক সময়ে দায়িত্ব পালন করছে না তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাজেদুল ইমরানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ সহ অসংক্রামক রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করেছে। এসব ওষুধ হাসপাতালে স্টোর রুমে মজুত রয়েছে। রহস্যজনক কারণে আউটডোরে সরবরাহ দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাসরিন জেবিন বলেন, বর্তমানে এনডিসি কর্নারে
এমলোডিপিন,লোসার্টান, মেটফরমিন এ
৩ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ রয়েছে । অবশিষ্ট ওষুধ পাওয়া গেলে তা রোগীদের জন্য সরবরাহ করা হবে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, ইকোস্প্রিন ও রসুভাসট্যাটিন সহ ডায়াবেটিকস ও হৃদ রোগীদের বিভিন্ন ওষুধ হাসপাতালে স্টোর রুমে মজুদ রয়েছে। রহস্যজনক কারণে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ সরবরাহ করছে না। এর ফলে অসংক্রামক রোগীরা চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হক জানান, এনডিসি কর্নারে ৪ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
পাঠকের মতামত