কূটনৈতিক প্রতিবেদক: রোহিঙ্গারা রাখাইনে কি ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তার বিস্তারিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল।
পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরকালে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
এক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ২৯ এপ্রিল ঢাকায় আসার পর ওই একই দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন তারা।
১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ হলো- চীন, ফ্রান্স, রাশিয়ান ফেডারেশন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন বলে সাংবাদিকদের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত বছর আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা ও বর্বরতার শিকার হয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এই বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুঃখ দুর্দশা নিজ চোখে দেখতে গত ৬ এপ্রিল জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগেই এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে আসার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
এপ্রিলের জন্য এই পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত পেরুর রাষ্ট্রদূত গুস্তাভো মেজা-কুয়াদ্রা।
তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের যেসব এলাকা থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং নৃশংসতা চালানো হয়েছে, সেসব এলাকা পরিদর্শন করবেন তারা।
পাঠকের মতামত