প্রকাশিত: ২৭/১১/২০১৭ ১০:২৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:২৯ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ায় ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের বিপরীতে মিয়ানমারের নাইক্ষংদিয়া চরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় থাকায় এ ঝুঁকি আরো বেড়ে যাচ্ছে। সে সাথে জীবিকার সন্ধানেও রোহিঙ্গারা সেন্টমার্টিনমুখী হতে পারে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের সেন্টমার্টিন যাওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থানের কথা জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন এবং মিয়ানমারের নাইক্ষংদিয়ার চর অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে। মাঝে কিছু অংশ নাফ নদী এবং অপর অংশ বঙ্গোপসাগর। গত এক সপ্তাহ ধরে নাইক্ষংদিয়ার চর থেকে প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০টি ভেলায় করে শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। সে সাথে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় নাইক্ষ্যয়দিয়া চরে রয়েছে আরো হাজার হাজার রোহিঙ্গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকটবর্তী হওয়ায় এসব রোহিঙ্গা প্রায়ই সেন্টমার্টিনের দিকে চলে আসার চেষ্টা চালায়।

এমনিতেই আয়তনের তুলনায় সেন্টমার্টিনের লোক সংখ্যা অনেক বেশি। স্থানীয় বাসিন্দার সংখ্যা ১০ হাজার হলেও পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিড় করে ৫ থেকে ৭ হাজার পর্যটক। এ অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গারা আসতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয়ার আশংকা স্থানীয়দের।

স্থানীয় জেলেদের সাথে সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু রোহিঙ্গার আগে থেকেই অবস্থান থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাই একমাত্র প্রবাল দ্বীপকে রক্ষায় নতুন করে আর যাতে কোনো রোহিঙ্গা সেন্টমার্টিনে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানালেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ২৫শে আগস্টের পর সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ করা কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় টেকনাফে ফেরত পাঠিয়েছে স্থানীয় দ্বীপ বাসিন্দারা।

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...

আরাকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী যুবকের মৃ’ত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ...