প্রকাশিত: ০৬/০৩/২০১৮ ৯:৩৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪৪ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফনদে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) যৌথ টহল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে টেকনাফ বিজিবির ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান চৌধুরী একথা জানান।
তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্তে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর কোন পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমানার মাঝামাঝি নাফনদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) যৌথ টহল শুরু হয়েছে। স্পিডবোডে ওই টহলে টেকনাফ ২ নম্বার ব্যাটালিয়ন বিজিবির ১৩ ও মিয়ানমার ৪ নম্বার ব্যাটালিয়নের বিজিপির ১৬ জন সদস্য অংশ নেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার বিজিপির কাছে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নাফনদে যৌথ টহলের প্রস্তাব পাঠাই। তারই সূত্রে ধরে টেকনাফের হ্নীলা থেকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের নাফনদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এ যৌথ টহল শুরু করা হয়।

তিনি জানান, তবে এই যৌথ টহল নিয়মিত নয়, কয়েকদিন পর পর এ যৌথ টহল চলবে। আগামী ৯ মার্চ শুক্রবার নাফনদীতে আবারো বিজিবি-বিজিপির এ যৌথ টহল দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সীমান্তে যৌথ টহল দিবে। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমার সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছিলো। সীমান্ত থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে তারা। এখন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

তবে আগামী ২৭ মার্চ থেকে পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী বিজিবি ও বিজিপি সীমান্ত এলাকায় যৌথ টহল শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন এই মন্ত্রী।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। তবে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি প্রস্তুত রযেছে। সীমান্তে শান্তি পূর্ণ পরিবেশ রাখতে নাফনদীতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ টহল শুরু হয়েছে।

গত বছরের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তার আগে আসে আরও ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

এরই মধ্যে সোমবার বান্দরবানের তুমব্রুর পর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারেও অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে বিজিপি। এ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়।সুত্র: সমকাল

পাঠকের মতামত