হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ২২/০৬/২০২৫ ৬:৩৬ পিএম

উখিয়ার পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আরাফাতুল ইসলাম ওরফে বাদল (১৭) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের বাম পায়ের নিচের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রবিবার (২২ জুন) দুপুর ২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকার সাপমারা ঝিরি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক জামছড়ি গ্রামের খুইল্লা মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে চোরাইপণ্য আনতে গিয়েছিল চোরাকারবারিদের একটি দল। এ সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনে পা পড়লে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই বাদলের পায়ের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে গেলে সীমান্তে বাদলকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসরুরুল হক জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। চোরাইপণ্য আনতে গিয়ে সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, বিশেষ করে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান লড়াইয়ের ফলে সীমান্ত এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে বিস্ফোরক মাইন। এসব মাইন শুধু অনুপ্রবেশকারী বা চোরাকারবারিদের জন্য নয়, বরং নিরীহ গ্রামবাসীর জন্যও ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তজুড়ে এই ধরনের বিস্ফোরক বিপজ্জনক হুমকি হয়ে উঠেছে। সময় এসেছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ নজরদারি, সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার এবং চোরাচালান প্রতিরোধে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়ার। নয়তো সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের জীবন প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে থাকবে।

পাঠকের মতামত

ঘুমধুম সীমান্তে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা আটক করেছে ৩৪ বিজিবি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ...