প্রকাশিত: ২২/০৭/২০১৮ ৭:৫৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৭ এএম

এম,এস রানা উখিয়া
একদিকে প্রবল বর্ষন অন্যদিকে ভারি যান বাহন চলাচলের কারনে কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক এখন যন্ত্রনাময় সড়কে পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি উখিয়া টেকনাফে অবস্থান করছে প্রায় ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। যার কারনে দেশ বিদেশের বিপুল সংখ্যক এনজিও স্বস্থ্যারর গাড়ি নিত্যদিন চলাচল করে আসছে, এ অতিরিক্ত গাড়ি সড়কের উপর দিয়ে চলার প্রভাব পড়ছে এ সড়কে। ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাওয়া সড়কের এক ঘন্টার পথ পার হতে লেগে যায় ২ ঘন্টারও অধিক পাশাপাশি তীব্র যানজটের কারনে এ সড়কদিয়ে নিয়মিত যাতায়ত কারি যাত্রীগন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এছাড়াও উক্ত সড়কে অবস্থিত ষ্টেশন গুলো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এসব ষ্টেশন,বাজার সুমহে চলাচলকারী পথচারীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে চলাচল করে আসছে।
বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক স্টেশন কোটবাজারেরর অবস্থা নাজুক পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিন কক্সবাজারের বানিজ্যিক ও সুপরিচিত এই কোটবাজার এখন বেহাল দশায় জর্জরিক।বর্ষা মৌসম এলেই কোটবাজার হযে উঠে ফোঁট বাজার। এখানে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্হা, বিগত দিনে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাস্তার উভয় পার্শে পানি নিস্কশনের জন্য ড্রেন নির্মান করে দিলেও স্টেশনের কিছু সংখ্যক মার্কেট জমিদার ও দোকান মালিক তা ভরাট করে ফেলার কারনে এই দির্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারন পথচারী। কোটবাজার স্টেশনে রাস্তার চেয়ে উভয় পার্শ প্রায় ৩/৪ ফুট উচু হওয়াতে সমস্ত পানি গাড়ি চলাচলের রাস্তায় ও পথচারি চলাচলের ফোর্টপাতে চলে আসে, যার ফলে বৃস্টি হলে সড়ক হযে উঠে জীবন্ত একটা খাল,দৃর থেকে দেখলে মনে হয় যেন পনির উপর দিয়ে নৌকা নয় চলছে গাড়ি। দ্রূতগতির জানবাহনের চাকার পনি ছিটকে পড়ে পথচারিদের কাপড় চোপড় নস্ট করে তাদের চরম বিব্রত পরিস্হিতির সম্মুখিন করে চাড়ছে যা কামনা করা যায় না। এছাড়াও ভালুকিয়া সড়কবাসীর রয়েছে বার মাসি দুঃখ্য পার্শবর্তি মার্কেটের উচু নালা থেকে প্রতিনিয়ত পঁচা ময়লাযুক্ত পানি নেমে আসার কারনে উক্ত রোডের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সীমাহিন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া গুরুত্বপুর্ন সৈকত সড়কের এন আলম মার্কেট সংলগ্ন পানি চলাচলের একমাত্র পুল টি ভরাট হয়ে যাওয়াতে বর্তমানে উক্ত সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সৈকত রানী ইনানী বিচ এ শত শত পর্যটকের যাতায়ত সহ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন সৃস্টি হচ্ছে, এছাড়াও পানির উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চালাচলের অনুপযোগী হযে যাচ্ছে। সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি ছাড়াও চলাচল রত বিভিন্ন গাড়ির ক্ষতি হয়ে যাওয়ার ফলে গাড়ির কোম্পানীদের লাভের চেয়ে লোকসান হচ্ছে অধিক। পার্শবর্তি ষ্টেশন মরিচ্যা বাজারে সম্প্রতি শুরু হয়েছে সড়কের উভয় পার্শের ড্রেন পুনঃউদ্বার কার্যক্রম। হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সড়কের দু-পার্শের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার এবং ড্রেন উদ্বার কাজ দ্রুত চললেও উখিয়া উপজেলার এ ব্যাস্ততম ষ্টেশন এ ধরনের কোন মহৎ কর্মের লক্ষন কোটবাজারে দেখা যাচ্ছে না।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সেলিম কায়সার ও আবদুল গফুর সওদাগরেরর কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন কোটবাজার ষ্টেশনের উভয় পার্শে সরকার যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিয়েছি তা ভরাট হয়ে যাওয়াতে বর্তমানে এ ষ্টেশনের এমন বেহাল দশা বিরাজ করছে। তবে শিঘ্রী কোটবাজারের উভয় পার্শের ড্রেন গুলো পুনঃখনন করা হবে। এ লক্ষে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন নিয়ে সড়ক পরিমাফ করেছেন। স্হানীয়দের দাবী আশ্বাসের বানী না শুনিয়ে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে প্রতিদিন চলাচলরত যাত্রী সাধারনের দুর্ভোগ কমাতে অভিলম্বে সড়ক মেরামত কার্যক্রম শুরু করার জোর দাবী জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত