প্রকাশিত: ১১/০৪/২০১৭ ৬:৫০ এএম
ফাইল ছবি

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

ভারত সফরে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে সমালোচনার জবাব নয়াদিল্লিতেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের সফরের শেষ দিন গতকাল সোমবার দুুপুরে হোটেল তাজ প্যালেসে আয়োজিত বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ী সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যাঁরা বলেন, আমি দেশ বিক্রি করতে এসেছি, তাঁরা অর্বাচীন অথবা তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কথা বলেন। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী থাকলে একটু-আধটু সমস্যা থাকবে। কিন্তু আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান করছি, ঝগড়াঝাঁটি করে নয়। এখন দেশ বেচে দিলাম, নাকি নিয়ে ফিরলাম—তা আপনারাই বলবেন। ’ সম্মেলনে দুই দেশের চার শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ী সম্মেলনের আগে সকালে নয়াদিল্লির জনপথে ইম্পেরিয়াল হোটেলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার আয়োজন করে। সেখানে ইংরেজিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিস্তা ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। হঠাৎ হিন্দিতে তিনি বলেন, ‘লেকিন মুঝে পাতা নেহি দিদিমণি ক্যায়া করেগি। দিদিকি সাথ বাত হুয়ি। পানি মাঙ্গা, মাগার ইলেকট্রিসিটি তো মিলা। কুছ তো মিল গেয়্যা। ’ (আমি জানি না, দিদিমণি কী করবেন। দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে। পানি না পেলেও বিদ্যুৎ তো পেলাম। কিছু তো পেলাম। )

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বলেন, ‘তিস্তা ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানিবণ্টন চুক্তি নিষ্পত্তি করতে তাঁর সরকারের জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এটি (চুক্তি) যখন হবে, তখন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আরেক দফা রূপান্তর ঘটবে। ’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের অভিন্ন পানিসম্পদ অবশ্যই ঐক্যের শক্তি হিসেবে কাজ করবে। আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য একটি সমন্বিত, অভিন্ন সব নদ-নদীর পানি বণ্টনসহ অববাহিকাভিত্তিক সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘১৯৭১ সালে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা এবং দুই লাখেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ’

পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা স্মরণে সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গণহত্যার স্বীকৃতি দিক। আমাদের এ প্রচেষ্টার সঙ্গে থাকার ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। ’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পরামর্শক গ্রুপের চেয়ারম্যান এল কে আদভানিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক স্বার্থ ও অভিন্ন প্রত্যাশা। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম দিকেই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আমাদের হৃদয়ে আছে। এ বন্ধুত্ব শক্তিশালী ও টেকসই হবে। ’ তখন থেকেই এ সম্পর্ক গতিশীল, সমন্বিত ও কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে পরিপক্ব হয়েছে। ”

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনৈতিক ও সরকারি পর্যায়ে আমরা যা কিছুই অর্জনের চেষ্টা করি না কেন তা আমাদের জনগণের সংহতি, গভীর আবেগ, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধনের জন্য। আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মানুষে মানুষে যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এগুলো আমাদের অংশীদারির নতুন দৃষ্টান্ত। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সমন্বিতভাবে ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ দূর করেছি। আস্থা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিষয় হিসেবে কাজ করেছে। সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত উদ্যোগের জন্য আমরা একাধিক স্তরের ও কার্যকর দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা কাঠামো ব্যবহার করেছি। ’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদের উত্থান শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে আমাদের অগ্রযাত্রাকে বিপদে ফেলেছে। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র নয়—এমন গোষ্ঠী থেকে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি অর্থনীতি ও সমাজগুলোকে সমন্বয় করতে আমাদের উদ্যোগকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করছে। আমাদের সমাজের সুরক্ষায় আরো সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ’

কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্য, স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ সহযোগিতার প্রায় সব খাতে বাংলাদেশ ও ভারত ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। অগ্রগতির এ পথে ভারত আমাদের অংশীদার। ’

বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রতি সর্বসম্মত সমর্থনের জন্য ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্য ও সব রাজনৈতিক দলের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সেটি অবশ্যই এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ছিল। ’

বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রিড সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি এবং বায়ু ও জলবিদ্যুৎ শক্তি, অফশোর অনুসন্ধান, এলএনজি, এলপিজি, ডিজেল জ্বালানির মতো খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা যৌথভাবে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এবং ভারতের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভুটান ও নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চিহ্নিত করছি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, মানের সমন্বয়, বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতি বিষয় সমাধানের মাধ্যমে আমরা আরো উন্মুক্ত, লাভজনক ও সমন্বিত বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ জোর দিচ্ছি। বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবেলায় আমরা বিশেষ করে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরো বেশি ভারতীয় বিনিয়োগ পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ ব্যাপারে আমরা ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক আগ্রহ দেখছি। আর সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক উন্নতির ক্ষেত্রে কানেক্টিভিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ’

হোটেল তাজ প্যালেসে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বলে গেছেন, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে যা সমাধান করা যায়, তা ঝগড়া করে সম্ভব নয়। প্রতিবেশী থাকলে একটু-আধটু সমস্যা থাকবে। কিন্তু আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান করছি। পদ্মার পানিবণ্টন আর স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। ’

আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬৫ সালের আগে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের যে পথগুলো খোলা ছিল তার সব চালু করার চেষ্টা চলছে। ’ বাংলাদশে দারিদ্র্যের হার কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। পাঁচ কোটি মানুষ আজ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। ’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার সঙ্গে বাংলাদেশি যত ব্যবসায়ী আসতে চেয়েছিলেন সবাইকেই এনেছি। আশা করি, আপনারা এ সফরের বাইরে গিয়ে কিছু বিনিয়োগ খুঁজবেন। শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়লে হবে না, দেখতে হবে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও যেন বাড়ে। ’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এশীয় দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অর্জন ও সমৃদ্ধি হচ্ছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডাব্লিউসি) তাদের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন টোয়েন্টিফিফটি’ প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে, বাংলাদেশ হবে ২৯তম।

২০২০ সাল নাগাদ ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ২০২০ সাল নাগাদ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ৯৬০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ। ’

ব্যবসায়ীদের সামনে বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেক ধনী ব্যবসায়ী। বিদেশিদের জন্য আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। আমরা আপনাদের বিনিয়োগ সফল করতে সব রকম ব্যবস্থা নেব, আপনারা আসুন। ’

ব্যবসায়ী সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন গোদরেজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট আদি গোদরেজ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন অ্যাসোচ্যামের প্রেসিডেন্ট সন্দীপ জাজোদিয়া, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ। ভারতের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট হর্ষ মারিওয়ালা অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান।

চার দিনের দিল্লি সফর শেষে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঠকের মতামত

১০ হাজার বাস রিজার্ভ, জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবে ১০ লাখের বেশি নেতাকর্মী

আগামী ১৯ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশকে দলের ...

সেভেন সিস্টার্সকে সংযোগকারী ভারত-মিয়ানমারের কালাদান প্রকল্প চালু হবে ২০২৭ সালে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মিয়ানমারের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে নেওয়া কৌশলগত ‘কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প’ ২০২৭ ...

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক ও ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের ...