প্রকাশিত: ২০/০৪/২০১৮ ৮:০৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫৬ এএম

আমান উল্লাহ কবির::
টেকনাফে অদক্ষ ও কিশোর চালকদের কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূর্ঘটনা। এতে মৃত্যুর পাশাপাশি অনেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে। এদের নিয়ন্ত্রনে আইনশৃংখলা বাহিনীর তেমন অভিযান নেই। ফলে সড়কে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চালকরা। বিশেষ করে অটোরিক্সা, টমটম, সিএনজি, মাহিন্দ্র, চারপোকা, ডাম্পার ও জীপগাড়ীর বেশীর ভাগ চালক অদক্ষ ও কিশোর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফ, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, শামলাপুর, সাবরাংসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে অটোরিক্সা, টমটম, সিএনজি, মাহিন্দ্র, চারপোকা, ডাম্পার ও জীপগাড়ী প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। কোন নিয়ম কানুন ছাড়া সড়কে বেপরোয়া গতিতে প্রতিযোগীতা দিয়ে চলছে এসব গাড়ী। এসব গাড়ীর বেশীর ভাগ চালক কিশোর ও অদক্ষ। হেলপাররাও শিশু। ফলে সড়কে যাত্রী উঠা নামা করতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতায় নামছে চালকরা। এতে প্রতিদিন ঘটছে অহরহ সড়ক দূর্ঘটনা। এদের নিয়ন্ত্রনে আইনশৃংখলা বাহিনীর তেমন অভিযান চোখে পড়ে না। ফলে সড়কে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওরা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ চালক হওয়ায় সড়কে প্রতিযোগীতামুলভাবে গাড়ী চালাতে গিয়ে বেশীর ভাগ দূর্ঘটনা ঘটছে। পথে পথে যাত্রীদের সাথে অনেক সময় তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। বেশী ভাড়া হাতিয়ে নেওয়ার ফলে এসব ঝগড়া নিত্য লেগেই থাকে। সন্ধ্যা নেমে এলেই এই প্রবণতা বেড়ে যায়। যেখানে ২০ টাকা ভাড়া সেখানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অহরহ উঠেছে। বিশেষ করে সিএনজিগুলো এসব কান্ড ঘটিয়ে থাকে। প্রতিবাদ করলে উল্টো নাজেহাল হতে হয় যাত্রী সাধারনের। এতে হাতাহাতির ঘটনাও কম হয় না। গাড়ীর মালিকেরাও বেশী লাভের আশায় অদক্ষ ও কিশোর চালকদের ব্যবহার করছে। শুধু তাই নই। এসব গাড়ী স্টেশনগুলোতে যত্রতত্র পার্কিং করে রাখায় নিত্য যানজট লেগেই থাকে। ফলে পথচারীদের চরম ভোগান্তি ও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতেও কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথা নেই। অদ্ভূদ এক পরিবেশে যেন বসবাস করছে টেকনাফের মানুষগুলো।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে দমদমিয়া প্রধান সড়কে এক চারপোকার ধাক্কায় আসমা নামে ৮ বছরের এক মেয়ে শিশু আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চারপোকা গাড়ীর ধাক্কায় যখন শিশু আসমা রাস্তায় কাতরাতে থাকে তখন ওই গাড়ীটি পেছনে গিয়ে ফের চাকা দিয়ে পিষ্ট করার পূর্বে স্থানীয়রা দেখে ফেলে এবং চালক ও গাড়ী আটকে রাখে।

অনেক চালকদের মুখে শুনা গেছে আহতাবস্থায় চিকিৎসা খরচ বেশী লাগে, মরে গেলেই ২০ হাজারে রফদফা! এমন মানসিকতা বর্তমানে ওইসব অদক্ষ চালকদের মাথায় ঘুরপাক খায়। ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় টেকনাফের কেরুনতলীতেও যাত্রীবাহী মাহিন্দ্র ও সিএনজি দূর্ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। কয়েকজন যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিএনজি গাড়ীকে ক্রস করে আসায় মাহিন্দ্র গাড়ীর পিছু নেয় ওই সিএনজি চালক। এক পর্যায়ে কেরুনতলী কোস্টগার্ড কার্যালয় বরাবর পৌঁছলে যাত্রী নামানো জন্য মাহিন্দ্র গাড়ী ব্রেক করা মাত্রই সিএনজি গাড়ীটি পিছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাহিন্দ্র ও সিএনজি গাড়ীর চালকসহ ৬ জন যাত্রী আহত হয়। সিএনজি গাড়ীর এক মৌলভীর যাত্রীর সামনের দাঁত ভেঙ্গে যায়। পরে কোস্ট গার্ড সদস্য ও স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে প্রেরণ করে। শুধু তাই নই বেপরোয়া গতির ডাম্পার গাড়ীতে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব অদক্ষ চালক ও কিশোর এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে গাড়ী তুলে দেওয়ার কারণে মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতি জোর দাবী জানান টেকনাফের সচতনমহল।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ দিনের ফুটফুটে নবজাতককে দত্তক নিলেন ...

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...