ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০২৩ ৫:৫২ পিএম

জাতিসংঘের সাবেক প্রধান বান কি-মুন মিয়ানমারে পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার এ খবর জানিয়েছে। দেশটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই সফর করছেন।

আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করে জান্তা সরকারের ভিন্নমতের উপর নৃশংস দমন-পীড়ন চালানো এবং বিরোধীদের সাথে আলাপ-আলোচনার বিষয় প্রত্যাখ্যান করায় দেশটির সামরিক বাহিনীর ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট সংকট অবসানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে।

মিয়ানমারের মিডিয়া শান্তি প্রচেষ্টা এবং সংঘাত নিরসনে কাজ করার লক্ষ্যে নেলসন ম্যান্ডেলা প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব নেতাদের ‘দ্য এল্ডারস’ গ্রুপের সদস্য বানের সফর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। খবর এএফপি’র।

রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, বান ও তার দল গতকাল সন্ধ্যায় বিমানযোগে নেপিডো পৌঁছেছেন। বিস্তারিত উল্লেখ না করে খবরে বলা হয়, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী তার সাথে দেখা করেছেন।

রাষ্ট্র-চালিত টিভিতে একটি বুলেটিনে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ বানকে বিমানবন্দরে আসার সময় তাঁকে ক্যামেরার দিকে হাত নাড়তে দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারি বান জাতিসংঘ মহাসচিব থাকাকালে একাধিকবার মিয়ানমার সফর করেছেন। তিনি জেনারেলদের সাথে আলোচনায় বিভিন্ন মাত্রায় সাফল্যও পেয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তৎকালীন জান্তা নেতা থান শোয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতে গেলে সেই জেনারেল নির্লজ্জভাবে গণতন্ত্রপন্থী এই ব্যক্তিত্বের সাথে বানের দেখা করার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেন। ২০১৬ সালে, সু চি জেল থেকে বের হয়ে মিয়ানমারের প্রকৃত বেসামরিক নেতা হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের শুরুতে সু চিকে আবার আটক করা হলে দেশটি পুনরায় অস্থিরতায় নিমজ্জিত হয় এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সূত্র: বাসস

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...