এম এ আহাদ শাহীন: পর্যটন নগরী কক্সবাজারে মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়ে এ জেলায় বসবাসকারী অধিকাংশ তরুণ বিপথগামী হয়ে পড়ছে। এরফলে একদিকে অপরাধের প্রবণতা যেমন বাড়ছে অন্যদিকে তরুণদের একটি অংশ দিক নির্দেশনাহীন হয়ে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।
তরুণরাই যেখানে জাতির ভবিষ্যত, সেখানে তাদেরকে যদি এই নেশার জগত থেকে বের করতে না পারা যায় তাহলে সমাজকে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করছেন কক্সবাজারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তারা বলছেন, মাদক কেবল সমাজ, জাতি ও দেশরই ক্ষতি করে না, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকেও বিপন্ন করে। তাই সময় থাকতে সরকার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোকেও নানা ধরণের উদ্বুদ্ধমূলক কর্সূচি হাতে নিয়ে মাদকের কুফল সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে হবে।
এই বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, কক্সবাজারে ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি ঘরের অধিকাংশ যুবকরা এটার সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার পাচার যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে এর নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। ইয়াবা যেহেতু আমাদের দেশে তৈরি হয় না মিয়ানমার থেকে আসে সুতরাং যেসব পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ওই পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিলে এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন কক্সবাজার পৌরসভায় ১৭ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করা এই জনপ্রিয় কাউন্সিলর।
ইয়াবা চালান আটকে প্রশাসনের গাফলতি আছে উল্লেখ করে কাউন্সিলর জামশেদ বলেন, প্রশাসনের গাফলতি না থাকলে এটা বন্ধ করা যেতো। কারণ তারা ভালো করেই জানে এই সব কোন দিক থেকে আসে।
সীমান্তে ইয়াবা প্রবেশের পয়েন্টগুলোতে প্রশাসন পরিকল্পিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করলে ইয়াবার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি।
পাঠকের মতামত