প্রকাশিত: ২০/১১/২০১৭ ৯:৩১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:৫০ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নজরদারি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।

তারা জানান,মন্ত্রিপরিষদ সভায় শিল্প কারখানাসহ সব পর্যায়ের শ্রমিকদের বেতনভাতা নিয়ে আলোচনার সময় কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন কেমন চলছে এবং এগুলোতে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করছে কিনা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। সেসময় এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, ‘সভায় আলোচনার এক পর্যায়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশের শিল্প কারখানার শ্রমিকরা ভালো আছেন, তারা বেতনও ভালো পাচ্ছেন। এখন শুরুতেই শ্রমিকরা ৭/৮ হাজার টাকা বেতন পান।’

এ সময় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভালো আছেন, এটা ঠিক। তবে তাদের বেতন-ভাতা আরেকটু বাড়ানো উচিত। কারণ সরকারি কর্মচারীদের বেতন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কিন্তু সেটার সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। তাই তাদের বেতন আরও বাড়ানো উচিত।’

এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যেহেতু নৌমন্ত্রী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তাই মজুরি কমিশন পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে। কারণ বিদ্যমান শ্রম আইন অনুসারে পাঁচ বছর পরপর মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের বিধান আছে। কিন্তু সর্বশেষ মজুরি কমিশন গঠনের পর এখনও পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি। ২০১৮ সালে কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। ২০১৩ সালে মজুরি কমিশন করা হয়েছিল। পুনর্গঠনের পর কমিশন যদি বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে তখন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো যেতে পারে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে মন্ত্রীদের আলোচনা শুনছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। তিনি আরও জানতে চান, এখন বাইরে থেকে গিয়ে কেউ কারখানার ভেতরে ট্রেড ইউনিয়নের আন্দোলন করতে পারে কিনা বা করে কিনা?’

উত্তরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারণ, এখন কারখানার শ্রমিকরাই ট্রেড ইউনিয়ন করেন। আর এসব ট্রেড ইউনিয়নকে বিভিন্ন এনজিও পৃষ্ঠপোষকতা করে। তবে এনজিওগুলো কোথা থেকে ফান্ড নিয়ে আসে, তাদের কার্যক্রম কী, কোথায় সেই ফান্ড ব্যয় হয়―তা আমাদের মনিটর (নজরদারি) করা হয় না।’

তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘হ্যাঁ,এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারি করা উচিত।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারির নির্দেশ দেন। সুত্র বাংলা ট্রিবিউন

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। ...

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ...

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উখিয়ায় হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগির নির্মাণ শুরু

উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ...