
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রথম ধাপে মাত্র ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়াকে প্রহসন হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তবে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়াকে ইতিবাচক বলে মনে করেন তারা। রোহিঙ্গা ফেরত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কূটনৈতিকভাবে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ তাদের।
অবশেষে ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম। তবে কীভাবে এবং কত সংখ্যক রোহিঙ্গা ফেরত যাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এরইমধ্যে প্রথম ধাপে ৪৫০ হিন্দু রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন বিষয়ক মন্ত্রী।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সমাজকর্মীরা বলছেন, ১০ লাখ শরণার্থীর বিপরীতে মিয়ানমারের এমন ঘোষণা হতাশাজনক।
কক্সবাজারের মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য দিদারুল আলম রাশেদ বলেন, এত কম সংখ্যক রোহিঙ্গা নেয়া খুবই হতাশাজনক। ৩০০ করে রোহিঙ্গা নিয়ে পরবর্তীতে কী ঘটবে সেটা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, এত কম সংখ্যক রোহিঙ্গা নিয়ে বছরে কতজন রোহিঙ্গা নিবে? এই লোকগুলো নিতে কত বছর সময় লাগবে? এর মধ্যে তারা আরও অনেক উছিলা বের করতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এ খবরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও মিয়ানমারের অতীত আচরণের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ তাদের।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এ বিষয়ে বলেন, মিয়ানমার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটার জন্য সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত। মিয়ানমার যাতে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সেজন্য অলিখিতভাবে আন্তর্জাতিক চাপ থাকার প্রয়োজন রয়েছে। সে জায়গাতে আমাদের সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার শুরুতে শুধু হিন্দু শরণার্থীদের ফেরত নেবার প্রতিশ্রুতিকে নেতিবাচক বলছেন বিশ্লেষকরা। সুত্র : সময় টিভি
পাঠকের মতামত