প্রকাশিত: ০৪/১২/২০১৬ ৯:৪৬ পিএম

বিশেষ প্রতিবেদক:: কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফ ও কুতুপালং শিবিরগুলোতে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গেছে। তারা সময়-সুযোগ বুঝে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করছে বলে অভিযোগ মিলেছে।

লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান ডা. দুদু মিয়া বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পে কিছু নতুন মুখের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। যারা ক্যাম্পের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে নতুন আসা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মধ্যে নগদ টাকা বিতরণ করছে।

লেদা শিবিরে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুজন অপরিচিত লোক শিবিরে নতুন আসা রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা বিতরণ করেছে। একপর্যায়ে বেশি লোকজন জড়ো হয়ে পড়লে মসজিদের এক ইমামের হাতে টাকার একটি বান্ডিল দিয়ে চম্পট দেয় তারা।

লেদা শিবিরের বি-ব্লকের মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকের হোসেন, এ-ব্লকের মাওলানা মোস্তাক ও মাওলানা মোহাম্মদ নূরের কাছে এসব টাকা রেখে যায় তারা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকে আরো উৎসাহিত করতেই এমন টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। শিবিরের পরিচালনা কমিটির কয়েকজন শেড মাঝি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের এসব টাকা বিতরণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে এ-ব্লকের রোহিঙ্গা হোসেন মাঝি ও ইলিয়াছ মাঝি অন্যতম।

লেদা শিবিরের চেয়ারম্যান ডা. দুদু মিয়া বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনেছেন বলে জানিয়েছেন।

ওদিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে কয়েক রাত ধরে অপরিচিত লোকজন নগদ টাকা ছাড়াও শীতের কম্বল বিতরণ করছে।

কুতুপালং অনিবন্ধিত শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানায়, রাতে এসব লোকজন এসে টাকা ও শীতবস্ত্র বণ্টন করে থাকে। এসব বিতরণকারীর নাম-পরিচয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

এসব বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে রোহিঙ্গা শিবিরে টাকা বিতরণের ঘটনাটি উদ্বেগজনক। আমি মনে করছি কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠী সুকৌশলে গোপনে টাকা বিলি করে ওপারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে উৎসাহিত করছে। ’

পাঠকের মতামত