উখিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজার জেলা পরিষদের মালিকানাধীন উখিয়া ডাকবাংলো সংলগ্ন মার্কেট থেকে অবৈধ জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৩ জন অবৈধ জবর দখলকারী দোকান মালিককে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসার সর্বস্ব হারিয়ে ইতিপূর্বেকার দোকান গুলোর মালিক দাবিদারদের দায়ী করছে।
গতকাল বুধবার দুপুর ২ টা থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার সহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েস বলেন, আদালতের নির্দেশে কক্সবাজার জেলা পরিষদের মালিকানাধীন উখিয়া ডাকবাংলো মার্কেটের নিচ তলার ৩৩টি দোকানের দখল অবৈধ দখলকারীদের কবল থেকে উচ্ছেদ করে জেলা পরিষদের অধীনে আনা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী সাইফুদ্দিন বলেন, উক্ত মার্কেটের নিচ তলার পূর্বের বৈধ ভাড়াটিয়ারা অবৈধ জবর দখলকারীদের উচ্ছেদের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত দীর্ঘ শুনানীর পর সম্প্রতি পূর্বের বৈধ ভাড়াটিয়াদের পক্ষে রায় দেন। উক্ত আদেশে জেলা পরিষদকে দ্রুত অবৈধ জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ পূর্বক বৈধ ভাড়াটিয়াদের দখল হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
ইতিপূর্বে আদালতের নির্দেশে অবৈধ জবর দখলকারীদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে জেলা পরিষদের মার্কেটের দোকান গুলো থেকে তাদের অবৈধ স্থাপনা ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা অমান্য করে বহাল তবিয়তে থেকে যায়। অবশেষে গতকাল জেলা পরিষদ মার্কেটের অবৈধ জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার আব্দুর রহিম, আলি আহমদসহ অনেকেই বলেন, ৮/৯ বছর পূর্বে উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাহ কামাল চৌধুরীসহ কয়েকজনের কাছ থেকে আমরা আইনানুগ ভাবে নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিপুল পরিমাণে সেলামী দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু গতকাল জেলা পরিষদের উচ্ছেদ অভিযানের প্রাক্কালে উক্ত চুক্তিবদ্ধ মালিকদের খবর দেওয়ার পরও তারা উচ্ছেদস্থলে আসেননি। এখন আমরা আমাদের ব্যবসার যাবতীয় মূলধন, সেলামীসহ সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। বিষয়টি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে সু-বিবেচনার আবেদন জানান তারা।
টানা ছুটিতে এবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসেছেন লাখেরও বেশি পর্যটক। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা ...
পাঠকের মতামত