প্রকাশিত: ১৮/০৬/২০১৭ ৩:১০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৬:০৮ পিএম

শহিদ রুবেল, উখিয়া::

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান ও ভারতের জমজমাট লড়াইকে কেন্দ্র করে উখিয়ার জুয়াড়ি সিন্ডিকেট লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়ার মিশনে নেমেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ রবিবার ১০ বছর পর আইসিসির কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ধারাবাহিক দল ভারত এবং আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। ঈদের আগে মোক্ষম এই সুযোগ কাজে লাগাতে ফাইনালের আগের দিন থেকে বাজির রেট নির্ধারণ এবং জুয়ায় নেমে পড়েছে শক্তিশালী জুয়া সিন্ডিকেট । ফলে আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশংকা বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, কুতুপালং, বালুখালী, পালংখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত কয়েকজন জুয়াড়ীর মধ্যস্থতায় লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে প্রলোভনে ফেলে কয়েকটি শক্তিশালী জুয়াড়ী সিন্ডিকেট এইসব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকান, সেলুনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল থেকে জুয়া নিয়ন্ত্রণে করে জুয়াড়ী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ড্রাইভার এমনকি শ্রমজীবিও। এদিকে সিন্ডিকেটটি মুলত বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, টি টোয়েন্টি আসর, এমনকি ঘরোয়া লীগ ও বাদ যাচ্ছে না জুয়াড়িদের কবল থেকে। শক্তিশালী দলের পক্ষে জয়-পরাজয়ের পাশাপাশি প্রতি ওভারে ওভারে ধরা হয় বাজি। এই জুয়ার শ্রুতে টাকার পাশাপাশি হারাচ্ছে নিজস্ব ব্যবহৃত জিনিসপত্রও। ইতিপূর্বে অনেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ধার-দেনা করে জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। পরে ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় নানান বিশৃংখল ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে আবার ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীক ব্যস্ততার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এদিকে সিন্ডিকেট ভিত্তিক জুয়াড়ির লাখ লাখ টাকার জুয়ায় মেতে উঠায় প্রতিনিয়ত ছোট ছোট হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এইদিকে ফাইনাল ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল খেলায় জুয়াড়ি সিন্ডিকেট আরো বেপরোয়া হয়ে উঠায় আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়া ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র জানায়, লোভের ফাদে পড়ে নিজের সব টাকা হারিয়েছি। এমনকি পরিবারের জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছি জুয়ার কারণে। ক্রিকেট জুয়া এমন এক মারাত্মক জিনিস টাকা হারিয়ে ফেললে পাওয়ার আশায় আবারো জড়িয়ে একেবারে সব শেষ হয়ে যায়।

স্থানীয় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক খাইরুল বাশার বলেন, সব ধরনের জুয়া এক ধরনের মানসিক বিকৃতি ঘটায়। এইটা পরিবার এবং সমাজের জন্য বিপদজনক।

স্থানীয় এনজিও হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম জানান, ক্রিকেট জুয়ায় সব পেশার মানুষ জড়িয়ে পড়ায় বেড়ে যাচ্ছে নানান বিশৃঙ্খল ঘটনার। জুয়ার নেশায় পারিবারিক সহিংসতা, নির্যাতনও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবিলম্বে ক্রিকেট জুয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এই ব্যাপারে উখিয়া থানার কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, উখিয়ার কোন খেলা নিয়ে জুয়া হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...