ফারুক আহমদ,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ার জালিয়া পালংয়ের লম্বরী পাড়া গ্রামের কিশোরী কন্যা আসমা বেগম অপহরনের ১মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পুুলিশ উদ্বার করতে পারেনি। অসহায় মা থানার পুলিশ, স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট একাধিক বার গিয়ে ধর্না দেওয়ার পরও সন্ত্রাসীর কবল থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্বারে কেউ এগিয়ে আসছেনা এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতে আশ্রয় নিয়েছে অপহৃতার পরিবার।
কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল আদালতে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয় গত ১৭মার্চ রাতে সৌদি প্রবাসী জাফর আলমের কিশোরী কন্যা আসমা বেগমকে চিহৃত সস্ত্রাসীরা অপহরন করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মা মায়মুনা খাতুনকে মারধর করে ঘরে আটকিয়ে রাখে।মা অভিযোগ করে বলেন জালিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী আসমাকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার ফরিদ আলমের বখাটে পুত্র নাছির উদ্দিন(১৮) প্রায় সময় কু-প্রস্তাব সহ উত্যাক্ত করত।এমনকি স¤্রহানীর হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ভয় ও লজ্জায় আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। অপহরনের শিকার আমার মেয়ে জীবিত আছে কিনা কিংবা কোন অবস্থায় রয়েছে তা কোন খবর পাচ্ছিনা।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, বখাটে সন্ত্রাসী নাছিরের নেতৃত্বে বাড়ি থেকে জোর পৃর্বক অপহরন করে স্কুল ছাত্রী আসমাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। অপহৃতার মা কিশোরী মেয়েকে উদ্বারের আকুতি জানিয়ে একাধিক বার উখিয়া থানায় গেলেও তাকে আইন গত সাহায্য করা হয়নি এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্টো সন্ত্রাসী নাছিরের বোন রুকছানা বেগম অপহরন ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভিকটিমের মা মায়মুনা খাতুনের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
এ দিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, কিশোরী অপহরন মামলায় অপহরন মামলাটি তদন্ত পৃর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মামলা নং-সিপি৪০৯/১৮। এতে আসামী করা হয় নাছির উদ্দিন,মোহাম্মদ বাবুলকে।
পাঠকের মতামত