উখিয়ায় ডাম্পার চাপায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে ডাম্প ট্রাকের (ডাম্পার) ধাক্কায় মোহাম্মদ নিশাদ (৭) নামের এক শিশু মর্মান্তিকভাবে নিহত ...
উখিয়ায় বন বিভাগের জায়গায় কুতুপালংয়ে অট্টালিকা প্রসাদ নির্মাণ করে হাউজিং পল্লী বানিয়েছে অবৈধ দখলদাররা । বলতে গেলে বনের জায়গায় ৩ :ভাইয়ের জমিদারি দেখে অনেকে হতভম্ব। কিভাবে সম্ভব হয়েছে এসব দালান নির্মাণ প্রশ্ন সচেতন মহলের।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মিজানুর রহমান রবিউল ইসলাম ও সোহেল এরা তিন ভাই। বাড়ি ঈদগাঁও উপজেলায়। দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার কুতুপালংয়ে ফার্মেসি ব্যবসায় জড়িত।
কুতুপালং স্টেশনে কেয়ার মেডিসিন হাউস নামে মিজানের রয়েছে একটি ফার্মেসির দোকান। প্রথমে প্রভাবশালী স্থানীয়দের সাথে সত্যতা হয় তাদের। ধাপে ধাপে কুতু পালংয়ে গড়ে তুলে বিশাল নেটওয়ার্ক। বলতে গেলে এখন তাদের রাজত্ব।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, কুতুপালং পিএফ পাড়া নামক স্থানে সরকারি বন বিভাগের জায়গার উপর দালাল নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেছে ঈদগাঁও থেকে আসা মিজানের পরিবার। শুধু তাই নয় তার ওপর দুই ভাই রবিউল ও সোহেলকে সরকারি জায়গা জবর দখল করে পৃথক অনুরূপভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ তৎকালীন বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময় মিজান সরকারি জায়গার উপর দালান বাসভবন নির্মাণ করে। শুধু তাই নয় তার ভাইদেরকেও বাড়ি নির্মাণ করতে উৎসাহ দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, মিজান বলেন ঈদগাঁও তাদের স্থায়ী ঠিকানা হলেও তারা ৩ ভাই দীর্ঘদিন ধরে কুতুপালংয়ে ব্যবসা করতেছে। কিছু অংশ সরকারি খাস জায়গা ও কিছু অংশ জোত জায়গা দাবি করে তিনি পিএফ পাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করেছে বলে জানান এ প্রতিবেদককে। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে উখিয়া বন বিভাগ সম্প্রতি মিজান সহ অনেক ব্যক্তিকে বন বিভাগের জায়গায় হতে কেন উচ্ছেদ করা হবে না মর্মে নোটিশ প্রদান করেছে।
স্থানীয়রা জানান, কুতুপালং এলাকার পিএফ পাড়াটি সরকারি বন বিভাগের জায়গার উপর গড়ে উঠেছে। অনেকের মতে তিন ভাইয়ের ব্যবসা খতিয়ে দেখার জন্য দাবি উঠেছে।
উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, পিএফ পাড়ার সরকারি বন বিভাগের জায়গার উপর অবৈধভাবে দালান বা বাস ভবন নির্মাণ করেছে আমরা ইতিমধ্যে প্রত্যেকে নোটিশ প্রদান করেছি। শুধু তাই নয় গতমাসে একাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জানান, সরকারি বন বিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অতি শীঘ্রই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
পাঠকের মতামত