প্রকাশিত: ২৩/০৭/২০১৮ ১১:২০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২১ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যভিত্তিক বিচ্ছিন্নতবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সন্দেহে বান্দরবানের থানচি থেকে ১২০ বস্তা চাল জব্দ করেছে বিজিবি। রোববার বিকেলে চালগুলো ইঞ্জিনচালিত বোটে করে দুর্গম রেমাক্রী এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা তা জব্দ করে। কোনো দাবিদার না থাকায় সোমবার চালগুলো জব্দ দেখানো হয়।

থানচি বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ারের দোকানে বর্তমানে জব্দ করা চালগুলো রয়েছে। বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়ননের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাবিবুল হাসান জানান, একটি ট্রাকে করে রোববার ১৯০ বস্তা চাল বান্দরবান হতে থানচিতে আসে। বিকেলেই বোটে করে চালগুলো রেমাক্রীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে বিজিবি চালগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ১২০ বস্তা চাল জব্দ করে। এখনো পর্যন্ত চালগুলোর কোনো দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং সেগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, চালগুলো মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরকান আর্মির (এএ) জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে বিজিবি সন্দেহ করছে।

এদিকে, থানচি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মংপ্রু অং মারমা চালগুলো কিনে থানচিতে পাঠায়। এর সাথে রেমাক্রীর চেয়ারম্যান মুশথুই মারমাও সম্পৃক্ত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বিজিবির অধিনায়ক জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে, চাল আটকের ঘটনায় রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের থানচি, রুমা ও আলীকদম এলাকার গভীর অরণ্যে দীর্ঘদিন থেকে আরাকান আর্মি তৎপর রয়েছে। এর আগেও বিজিবি অভিযান চালিয়ে এই আরাকান আর্মির অনেক মালামাল আটক করে। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন কৌশলে তাদের খাদ্যসহ অন্যান্য মালামাল পৌঁছে দেয় বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত