
ঢাকা: আজ (১ ফেব্রুয়ারি) থেকেই সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা ২০১৮। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাসস (বার্তা সংস্থা) জানিয়েছে, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এরমধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে। ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। গতবছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি বছর এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও বিদেশে অবস্থিত মোট ৮টি কেন্দ্রে ৪৫৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হবে।
‘ফেসবুক বন্ধে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’
ঢাকা: আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ফেসবুক বন্ধের চেয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো বেশি জরুরি।
ফেসবুকে যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, এজন্য বিটিআরসি তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বুধবার সচিবালয়ে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ফেসবুক বন্ধের কথা বলিনি। আমরা বন্ধ করতে পারবোও না। যারা এ বিষয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। এই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি।
আমরা বলেছি, প্রশ্ন ফাঁসকারীরা আপনাদের ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন দিকে প্রশ্ন ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর জবাবে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারা বলেছেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে তারা কার্য়করী ব্যবস্থা নেবেন।
সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখবেন কী রাখবেন না, সেটাও তারা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে বিষয়টি আমরা তাদের উপরে ছেড়ে দিয়েছি। তারা খুবই পজিটিভলি আমাদের সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, রাস্তায় যানজট জেনেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি নতুন কিছু নয়। সময়টাকে ধরেই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আমরা শক্ত অবস্থান নিয়েছি।
প্রশ্নফাঁস কিন্তু এখন ১০/১২ দিন আগে হচ্ছে না। কারণ ছাপা থেকে শুরু করে আমরা এটাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো পর্যন্ত কিন্তু ফাঁস হচ্ছে না। হচ্ছে এটি কেন্দ্রে পাঠানোর পর। সেটিকেও আমরা নিরাপদ করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও এ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করছে।
পাঠকের মতামত