নিজস্ব প্রতিবেদক ::
টেকনাফ বাহারছড়ায় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বাহারছড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জায়গা দখলে নিয়ে অবৈধ ভাবে মার্কেট নির্মান করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী, উক্ত প্রভাবশালী শামলাপুর গ্রামের আকতার কামালের ছেলে শওকত আলী বলে জানা যায়। আর শওকত আলীর এই
দখলদারিত্বের বিরুদ্ধ যদি কেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রির্পোট করে তাহলে তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান এক সময় শওকত আলী কক্সবাজার সংসদীয় একটি আসনের এক সংসদ সদস্যের সাবেক (বর্তমানে নেই) আপন বোনের জামাই হওয়ার সুবাধে স¤পুর্ণ ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে একদিন উক্ত কেন্দ্রের জায়গা সন্ত্রাসী স্টাইলে দখলে নেয়। কিন্তু বাহারছড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা সাহসীকতার সাথে উক্ত কেন্দ্রের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধ ও অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি রির্পোট করে, তার পরিপেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত টিম বাহাছড়ায় আসে যে , শওকত আলী সরকারী জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ ঘটনা তদন্ত করার জন্য, আর তদন্ত টিম উক্ত ঘটনা তদন্ত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে শওকত আলীর অবৈধ দখলতারিত্বের বিরুদ্ধে ২৬-০৮-২০১০ সালে একটি রির্পোট প্রদান করে, আর সেই রির্পোটে বাহারছড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মিত হওয়া বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সুপারিশ করে। আর উক্ত সুপারিশের পরিপেক্ষিতে বাহারছড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ২৬-০৯-২০১০ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব মোখলেছুর রহমান সাক্ষরিত কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কাছে একটি অনুরোধক্রমে নির্দেশনামা পাঠান, যার স্বারক নং ৪৫,১৩৮.০২৯.০৫.০০.২৬৮.১৯৯৮.৯১৯. যার অনুলিপি দেওয়া হয় তৎকালীন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো উক্ত নির্দেশনামার উপর ভিক্তি করে বাহারছড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উপ পরিচালক
কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বরাবর তৎকালীন কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ কাজল কান্তি বড়–য়া সাক্ষরিত ০৭-১০-২০১০ সালে একটি নির্দেশনামা পাঠায়, যার স্বারক নাম্বার সি,এস,ককস, প্রশাসন,২০১০/
১১৬৮৬/২(৫)। আর উক্ত নির্দেশের উপর ভিক্তি করে শওকত আলীর এই অবৈধ মার্কেট নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৎকালীন টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নাজমুল হাসান সাক্ষরিত তৎকালীন টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি দরখাস্ত লিখে যার স্বারক নং উপপ/ টেক/১০/১১৫, যার অনুলিপি দেওয়া হয় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ, উপ পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা কক্সবাজার, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। কিন্তু উক্ত জায়গায় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সরকারি উচ্চ পর্যায়ে এত নির্দেশ থাকলেও আজ প্রায় ৬ বছর যাবত তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তাই শওকত আলী ক্ষমতার দাপটে সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট স্থাপন করে সেখানে তিনি বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছেন, কেউ তার এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেনা। আর বাহারছড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান আমাদের কেন্দ্রের জায়গা সল্পতার কারণে অনেক কাজ ব্যাহত হচ্ছে, এমন কি একটি সংস্থা আমাদেরকে একটি রেষ্ট হাউজ নির্মান করে দিতে চেয়ে ছিল, কিন্তু আমরা জায়গা দিতে পারি নাই বলে তা করা যায়নি। এ বিষয়ে বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখার আওয়ামিলীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি শওকত আলী যে জায়গাটি দখল করেছে তা
হাসপাতালের ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে একদিন উক্ত জায়গা তার খতিয়ান ভূক্ত জায়গা বলে দখলে নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করে। অন্য দিকে এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাতের সাথে যোগাযোগ করে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
পাঠকের মতামত