এ.এম হোবাইব সজীব, কালারমারছড়া থেকে ফিরে:
আগামী ২৩ মে বহুল আলোচিত মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেলেও এক অজানা আতংকের মধ্যে রয়েছে সাধারণ ভোটার’রা। এ নির্বাচন আদৌও শান্তিপূর্ণ হবে কিনা ভোটাররা সন্দেহ প্রকাশ করে সবর্ত্র বিরাজ করছে অজানা শংকা।
তবে যে কোন মুর্হতে বড় ধরনের সহিসংতার আশংকা রয়েছে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে পরিচালনা ও আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ পিপি এম বার।
আলোচিত এ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন কোস্টগার্ড, ৬ প্লাটুন পুলিশ এবং ৪ প্লাটুন র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া ও স্টাইকিং ফোর্স ভোট কেন্দ্র এলাকায় টহলে থাকবে। প্রার্থীর সমর্থকরা এক পক্ষ অপর পক্ষকে জানান দিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র মজুদ করতেছে বলে বিভিন্ন গোয়ান্দা সংস্থা নিশ্চিত হয়েছে।
অপরদিকে ভোটারদের মাঝেও চলছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। তারা হিসাব কষছেন কাকে ভোট দিলে আগামী পাঁচটি বছর সুখে থাকবেন। হবে এলাকায় উন্নয়ন। উন্নত হবে সাধারণ মানুষের জীবন। দুর হবে সন্ত্রাস,এই সব নির্বাচনী নানা বিষয় নিয়ে পুরো কালারমারছড়া জুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। একই সাথে কে হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী? সেই আলোচনাও একেবারে তুঙ্গে।
সাধারণ ভোটারদের চোখে কালারমারছড়া ইউনিয়নে ভোটের হিসেবে কারা এগিয়ে আছেন- সে হিসাব নিয়ে এ.এম হোবাইব সজীবের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
জানা গেছে, মহেশখালীর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ইউনিয়ন কালারমারছড়া। নির্বাচন ছাড়াও নানা কারণে ইউনিয়ন সব সময় আলোচনায় থাকে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কালারমারছড়া নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মোটর সাইকেল প্রর্তীক নিয়ে তারেক বিন ওসমান শরীফ জয়ের লক্ষে নির্ঘূম প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ দুই প্রার্থী যোগ্যতা প্রমাণ দিতে মসনদ নিজের কব্জায় নিয়ে আনতে জানবাজি রেখে লড়ছেন। অনেক ভোটার মনে করেন নৌকা প্রতীকের প্রাথী সেলিম চৌধুর্রী পক্ষে সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ভোট চাওয়া তিনি জয় হতে পারেন এমন কথার উদয় হচ্ছে সচেতন মহলের মাঝে। তবে ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে জনপ্রিয়তা ধরে রেখে জয়ের লক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছেন আলহাজ্ব এখলাছুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রর্তীক নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন প্রবাসী আনছারুল করিম।
ভোটাররা জানান, আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থী বেশি হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভোটগুলো ভাগ হয়ে যাবার সম্ভানা রয়েছে। কিন্তু বিএনপির একটা ভোটও বাইরে যাবে না। তার সাথে যোগ হবে বিভিন্ন দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট। বর্তমান তিন প্রার্থী জয়ের লক্ষে বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে দেখা যাক কে হচ্ছেন কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী। অপেক্ষা করতে হবে ২৩ মে রাত পর্যন্ত।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ভোট গ্রহণ কালে কোন ধরণের ন্যাক্কার জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তড়িৎ ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ রয়েছে।
পাঠকের মতামত