প্রকাশিত: ২০/০২/২০১৭ ৬:১২ পিএম , আপডেট: ২০/০২/২০১৭ ৬:১৬ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ঘটনায় পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা তরুণদের একটি ক্ষুদ্র অংশ সম্প্রতি দেশে ফিরে যাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে একবারে ফিরছেন না তারা। রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতারা বলছেন, মিয়ানমারে থাকা স্বজনদের বাংলাদেশে নিয়ে আসতেই তারা কিছু সময়ের জন্য দেশে ফিরে যাচ্ছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে।

গত অক্টোবরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানে নামে দেশটির সরকারি বাহিনী। মারা যান বহু রোহিঙ্গা। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের একজন দুদু মিয়া। টেকনাফে একটি শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের নেতা তিনি। দুদু মিয়া বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানান, সরকারি বাহিনীর দমনপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় অনেকে পরিবাবের সদস্য; বিশেষ করে বয়ষ্কদের ফেলে এসেছিলেন। এখন তারা ফেলে আসা স্বজনদের বাংলাদেশে নিয়ে আসতে কিছু সময়ের জন্য মিয়ানমারে গেছেন।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে দেশে আনুমানিক চার লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। এদের মধ্যে ৭০ হাজার সম্প্রতি এদেশে এসেছেন। দুদু মিয়া জানান, এরমধ্যে হাজারখানেক রোহিঙ্গা সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আরেক নেতা জানান, অনেকে আতঙ্কে পালিয়ে এসেছিল। তারা ঘরবাড়ি ফেলে এসে এখানে ভিক্ষুকের মতো থাকতে চায় না।

কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে একটি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা আবু সিদ্দিক। বিবিসি’কে তিনি জানান, গত অক্টোবর থেকে এই ক্যাম্পটিতে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।

তিনি বলেন, ‘মূলত যেসব পুরুষেরা পরিবারের অন্য সদস্যদের মিয়ানমারে রেখে পালিয়ে এসেছিলেন তারাই ফিরে যাচ্ছেন। এদের একটা ধারণা হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে রয়ে গেছে এবং তাদের সহায় সম্পত্তি আছে, সেগুলোর খোঁজ খবর করতেই তারা যাচ্ছেন।’

টেকনাফে বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসার প্রেক্ষাপটে অনেক রোহিঙ্গা ফিরছেন। তবে কি পরিমাণ ফেরত যাচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। ফেরত যাওয়ার প্রবণতার কথা স্বীকার করছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন। তিনি বলছেন, সপ্তাহখানেক ধরে এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে এই সংখ্যাটা একেবারেই নগণ্য।’ তিনিও রাখাইনের পরিস্থিতি আপাত শান্ত হওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

পাঠকের মতামত

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মানে গণতন্ত্রের ঠিকানা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ...

হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহতের ...

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা

ত্যাগ আর উৎসর্গের আদর্শে মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। আরবি মাসের ১০ জিলহজ তারিখে এই ...

এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা

২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ...