
শামীমুল ইসলাম ফয়সাল, উখিয়া:
সোনারপাড়া থেকে শামলাপুর যাওয়ার এলজিইডি সড়কে গত দশদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গত ২৬ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ভারি বর্ষণের ফলে উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের রূপপতি এলাকায় এলজিইডি সড়কের উপর দুটি পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে সোনারপাড়া থেকে শামলাপুর যাওয়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু গত ১০ দিনেও সড়কের উপর থেকে সরানো হয়নি পাহাড়ের মাটি। যার কারনে জরুরী পণ্যপরিবহনসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সকড়টি বন্ধ হয়ে যাওযায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুন।
কারণ, সোনারপাড়া বাজার বসে সপ্তাহে দু’দিন।
এ দু’দিনে প্রায় কয়েক কোটি টাকা টাকার সুপারি আর পান বিক্রি হয়।এসব পান আর সুপারির বড় অংশ যায় জালিয়া পালংযের উপকূলীয় এলাকা, ইনানী, মোঃ শফিরবিল, পাটুয়ারটেক, রূপপতি চোয়াংখালী এসব এলাকা থেকে।মূলত এলজিইডি সড়ক দিয়েই সোনারপাড়া বাজারে নিয়ে যায় চাষীরা।কিন্তু গত দশদিন ধরে সড়কটি বন্ধ থাকার কারণে পান এবং সুপারী চাষীরা সমস্যায় পড়েছেন।
অনেক পানচাষী অভিযোগ করে বলেন, সড়ক বন্ধ থাকার কারণে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় পান অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিতে হয়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান পাহাড়ের মাটি পার হতে না পেরে পণ্য নিয়ে ফিরে গেছে।সড়কের উপর থেকে পাহাড়ধ্বসের মাটি না সরানোর কারণে কোনো গাড়ি পার হতে পারেনি রূপপতি এলাকা।ফলে পণ্য নিয়ে উল্টো কক্সবাজারে ফিরে গেছে অনেক ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান।মেরিনড্রাইভে ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে মেরিনড্রাইভ দিয়েও বড় কাভার্ডভ্যান আর ট্রাক নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন শামলাপুরের একাধিক ব্যবসায়ী।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ গত ১০ দিন পার হলেও প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্হলে আসেনি। এমনকি সড়কের মাটি নিজেদের উদ্যোগে সরাতে চাইলে উল্টো বনকর্মকর্তারা বাধা দেয় বলে জানান তাঁরা।পাহাড় দুটি ধ্বসে রূপপতি এলাকার মোঃ আবুল কাশেমের সুপারি বাগানে এসে পড়ে, প্রায় ২ শতাধিকেরও বেশি সুপারি গাছ ভেঙ্গে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাহাড় ধ্বসের দশদিন পার হলেও এখনো মাটি সরানো হয়নি।ফলে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
পাহাড়ধ্বসের বিষয় জানতে চাইলে জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, বৃষ্টির কারণে এতদিন সড়ক থেকে মাটি গুলো সরানো হয়নি, তবে ইতিমধ্যে মাটি সরানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনারপাড়া থেকে শামলাপুর যাওয়ার দীর্ঘ ৩০ কিলোমিমটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসের মাটি পড়ে আছে। যার কারণে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য পড়েছে।
পাঠকের মতামত