

কক্সবাজারের উখিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় উখিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা জুড়ে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ।
কাউন্সিল অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন সরওয়ার জাহান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হন সুলতান মাহমুদ চৌধুরী। সরওয়ার এর আগে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। সুলতান পূর্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, “উখিয়ার মানুষ ইয়াবার ছোবলে ক্ষতবিক্ষত। ইয়াবা ব্যবসায়ী, দালাল কিংবা গডফাদার যেই হোক, তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।” তিনি কুখ্যাত ইয়াবা গডফাদার আবদুর রহমান বদির নাম উল্লেখ করে বলেন, “কক্সবাজারকে কলঙ্কিত করেছে বদি ও তার দোসররা। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
তিনি আরও বলেন, “পিআর (PR) পদ্ধতিতে নির্বাচন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। সাধারণ মানুষ জানেই না পিআর কী, তারা শুধু ভোট দিতে চায়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি যোগ করেন, “জনগণের রক্তচোষা শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
উদ্বোধকের বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, উখিয়া বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। আজকের সম্মেলন প্রমাণ করেছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা সংগঠনের প্রতি কতটা উৎসাহী। নতুন নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়ে তৃণমূল ঐক্যকে আরও দৃঢ় করতে হবে।”
সম্মেলনে আট ইউনিয়নের ৬২৪ জন কাউন্সিলর এবং প্রায় দুই হাজার অতিথি অংশগ্রহণ করেন। সর্বশেষ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের এপ্রিলে।
পাঠকের মতামত