প্রকাশিত: ১১/০৮/২০১৭ ৭:৩৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৩ পিএম
ফাইল ছবি

রমজান উদ্দিন পটল::
মরণ নেশা ইয়াবার ডেঞ্জারস জোন খ্যাত টেকনাফে ইয়াবা বাণিজ্য ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঘাতক এ ইয়াবা এখন রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে বিস্তৃত। ইয়াবা ব্যবসার মধ্য দিয়ে অট্রালিকা অর্থ সম্পদশালী হওয়া ইয়াবা কারবারীরা ধর্ম, কর্ম, সমাজ ও রাজনীতিতে নেতৃত্ব কর্তৃত্বের মাধ্যমে এর মারাত্মক বিস্তার ঘটায়। সাঙ্গা করে তুলে ইয়াবা বাণিজ্য। এর ফলে ইয়াবার সর্বনাশি থাবায় বর্তমান প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে। সৎ ব্যক্তির রূপে মহৎ কাজের সহায়তার সেবক বেসে অধিকাংশ ইয়াবা কারবারীরা এলাকার ধর্ম, কর্ম, শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও রাজনীতিতে নেতৃত্ব কর্তৃত্ব গড়ে তুলে। রূপ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কৌশলে এর আড়ালে নিয়ন্ত্রন করছে ইয়াবার আন্ডার গ্রাউন্ড। এত করে সীমান্ত জনপদে ইয়াবা বাণিজ্য, পাচার ও ব্যবহার ক্রমে বৃদ্ধি পায়। যা বর্তমানে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। ইয়াবার কালো টাকায় ইয়াবা কারবারীরা আলিশান বাড়ী, গাড়ীর সান শৌকতের পাশাপাশি সমাজে আত্ম মর্যাদা বৃদ্ধি করে চলছে। যা সমাজ ও প্রশাসনিক প্রতিরোধ হতে রক্ষা পাওয়া ও পাচার বাণিজ্য সুযোগ সুবিধাই তাদের অন্যতম পরিবর্তিত কৌশল। গত ২০১৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের ইয়াবা বিরোধী বিশেষ অভিযানের পর ইয়াবা কারবারীরা তাদের রূপ বদলায়। এর মাধ্যমে ক্রমাগত ভাবে ভোগ করে আসছে সামাজিক নানান সুযোগ সুবিধা। ধর্ম, রাজনীতি, সমাজ ও সাংস্কৃতিতে ইয়াবা কারবারীদের নেতৃত্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্টা করে। টেকনাফে অধিকাংশ শীর্ষ ইয়াবা কারবারী এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পদস্থ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের জন প্রতিনিধি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং এলাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্বে নিযুক্ত। এমনকি এলাকার অধিকাংশ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা, নূরানী শিক্ষা ও হেফজ খানার পরিচালনার কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী। অনেকে আবার তাবলীগ জামাতের সাথী। অনেকেই মুখে গোপ, টুপি পায়জামা পরে সেজেছে পরহেজগার মোছল্লি। অনেকেই কালো টাকা দিয়ে বিভিন্ন বৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে চলছে।এ নিয়ে সুশীল সমাজে চলছে আদর্শের হাহাকার। উপরোক্ত সবকিছুই মূলত : ইয়াবা পাচারের নতুন কায়দা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ কায়দা মতে ইয়াবার ছোয়া লাগে উপরে উল্লেখিত সমাজের প্রতিটি স্তরে। ইয়াবার এ ভয়ঙ্কর ছোয়াতে বিপদগামী হয়ে পড়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সমাজের উল্লেখিত স্তরে ইয়াবার বিস্তার ঘটানোর কারণে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী, মাদ্রাসার ছাত্র, রাজনীতি নেতাকর্মী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ইয়াবা বাণিজ্য জড়িয়ে পড়ে। যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে এলাকার সর্বস্তরে গ্রাস করেছে মারাত্মক ভাবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...