উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮/১২/২০২৪ ১০:০৪ এএম

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইতালি যাওয়া অভিবাসীদের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গেছে বাংলাদেশ থেকে। এই সময় সমুদ্রপথে ইতালি গেছে ৪৯ হাজার ৬৯১ জন অভিবাসী। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ৭০২ জনই বাংলাদেশি, যা মোট আগমনের ২০ শতাংশ। মোট আগমনের ১৮ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিরিয়া।

এরপরই আছে তিউনিসিয়া (১২ শতাংশ), মিসর (৬ শতাংশ), গিনি (৫ শতাংশ), পাকিস্তান (৫ শতাংশ), সুদান (৩ শতাংশ), ইরিত্রিয়া (৩ শতাংশ), মালি (৩ শতাংশ) ও গাম্বিয়ার (২ শতাংশ) নাম। ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

Rupali Bank

লিবিয়ার উপকূল থেকেই বেশিরভাগের যাত্রা

Google News গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ”র খবর পড়তে ফলো করুন

নভেম্বরে ইতালিতে যাওয়া অভিবাসীরা রওনা হয়েছে লিবিয়া, তিউনিসিয়া, তুরস্ক ও আলজেরিয়ার উপকূল থেকে। কিন্তু মোট অভিবাসীর ৭৬ শতাংই গেছে লিবিয়ার উপকূল থেকে।

এ ছাড়া নভেম্বরে যাওয়া অভিবাসীদের অন্তত ৭৫ শতাংশ ইতালির দক্ষিণের ছোট দ্বীপ লাম্পেদুসায় গিয়ে পৌঁছেছে। সমুদ্রপথে যাওয়া বাকি ২৫ শতাংশ অভিবাসী পৌঁছেছে ইতালির পোৎজালো, ত্রাপানি, জেনওয়া, রোকেলা আইওনিকা, রেজিও ক্যালাব্রিয়া, ক্রোটন, আওগুস্তা, কাতানিয়া, নেপলস, সিরাকুজে, ভিবো ভ্যালেন্তিয়া, লিভর্নো, লাম্পিওনি, পোর্তো পিনো, অর্তোনা, আনকোনা, পালেরমো, ব্রিন্দসি, সালেরনো, কাপো তেওলাদা, সিভিটাভেসিয়া ও পুলায়।

নভেম্বরে আগমন বেড়েছে ৪২ শতাংশ

নভেম্বরে সমুদ্রপথে ৮ হাজার ১০০ জন অভিবাসী ইতালি পৌঁছেছে। অক্টোবরের চেয়ে এ সংখ্যা বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ওই মাসে সমুদ্রপথে দেশটিতে পৌঁছেছে ৫ হাজার ৭২২ জন।

এদিকে চলতি বছর ইতালিতে অভিবাসী আগমন ২০২৩ সালের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কমেছে। এ বছরের মাসের হিসাবেও দেখা গেছে, আগমনের তারতম্য রয়েছে। ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে দেশটিতে গেছে ২ হাজার ২৫৮, ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ৩০১, মার্চে ৬ হাজার ৮৫৭, এপ্রিলে ৪ হাজার ৭২১, মে মাসে ৪ হাজার ৯৭৬, জুনে ৪ হাজার ৯০২, জুলাইয়ে ৭ হাজার ৪৬৫, আগস্টে ৮ হাজার ৫২৬ জন অভিবাসী।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি সিরীয় ইতালি পৌঁছেছে। তখনও নতুন করে দেশটিতে সংঘাত শুরু হয়নি। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত বেশিসংখ্যক সিরীয় সমুদ্রপথে ইতালিতে গেছে। চলতি বছর সিরিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসীর ৭৭ শতাংশ পুরুষ, ৭ শতাংশ নারী, ১১ শতাংশ শিশু ও ৬ শতাংশ সঙ্গীবিহীন শিশু।

অভিবাসীদের আগমন পয়েন্টে ইউএনএইচসিআর সক্রিয়ভাবে উপস্থিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ইতালির কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ও ইউরোপীয় সংস্থা এবং অন্য অংশীদারদের পাশাপাশি জাতিসংঘের এই সংস্থাটিও সেখানে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে, নতুন করে আসা অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা, বিশেষায়িত পরিষেবার মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও দুর্বল ব্যক্তিদের শনাক্ত করে যত্ন-আত্তি নিশ্চিত করা।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে ইউএনএইচসিআর। বিশেষ করে, সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রক্রিয়া জোরদারের পাশাপাশি নিয়মিত অভিবাসনের পথ সহজ করতেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি

পাঠকের মতামত

টেকনাফে বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য় ভূমিকা শীষক সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের টেকনাফে “বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য়  ও সামাজিক নেতাদের ভূমিকায়” শীষর্ক সভা অনুষ্ঠিত ...

১ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলবে সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন

আগামী ১ ফেব্রুয়ারিতে থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে ২ জোড়া নতুন ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ...

হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে সেন্টমার্টিনে বনভোজন, ভোগান্তিতে রোগীরা!

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকরা গেলেন পিকনিকে। হাসপাতালের চিকিৎসক কমকর্তা-কর্মচারীসহ ...

মাইক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ড. মিজানুর রহমান আজহারী

তাফসির মাহফিলের মাইকগুলো যথাসম্ভব প্যান্ডেলের ভেতরেই রাখুন। আগ্রহী শ্রোতারা সেখানে বসেই তাফসির শুনবেন। শ্রোতাদের সুবিধার্থে ...