প্রকাশিত: ০৫/১০/২০১৭ ২:২৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৩৯ পিএম

ঢাকা: ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ক্যাম্প বন্ধ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এক স্থানে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, এ জন্য কুতুপালং ক্যাম্পে আরও জমি বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো রাজনীতি সরকার মেনে নেবে না। তিনি বলেন, এনজিও বা দেশি-বিদেশি কোনো সংস্থাকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র কঠোর হাতে দমন করবে সরকার।
তিনি বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পের বাইরে যে সব ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা থাকছেন ক্রমান্বয়ে তা গুটিয়ে আনা হবে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পের বাইরে পাহাড়ি এলাকায় ও অন্যান্য স্থানে যে সব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
৩ অক্টোবর থেকে বান্দরবানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার লোকের রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এ কাজে সেনাবাহিনী ও পাসপোর্ট অধিদফতর সহযোগিতা করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২৫ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৫ লক্ষাধিক। তাদের সবাইকে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, খাদ্য সরবরাহ, স্যানিটেশন, রেজিস্ট্রেশন ও চিকিৎসা দেয়াসহ সব কাজ সুচারুভাবে করার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক ব্লকের জন্য একটি প্রশাসনিক ও পরিসেবা ইউনিট ও একটি গোডাউন স্থাপন করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের সেবা দেয়া সহজ হবে। পরবর্তী সময়ে ব্লকগুলো ক্যাম্পে রূপান্তর করা হবে। ব্লকের কার‌্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একজন করে কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে।
মায়া বলেন, ৪ লাখ ২০ হাজার লোক হিসাব করে প্রথমে ৮৪ হাজার শেড নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৭৫ হাজারেরও বেশি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট এক লাখ ৫০ হাজার অস্থায়ী শেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা দেশি বিদেশি এনজিওদের সহায়তায় দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট স্থাপন করা হবে। ক্যাম্পের ভেতর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে এবং পর্যাপ্ত আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।’

পাঠকের মতামত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কিত প্রস্তাব গৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে ...

৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ...

জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে কথা বলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ...