
সৈয়দুল কাদের::
কক্সবাজারে ধীরে-ধীরে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। দিনের বেলার তীব্র গরম আর নেই। পরিলক্ষিত হচ্ছে শীতের আমেজ। তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল জোনের অধিকাংশ হোটেলেই অবস্থান করছেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। পর্যটন কেন্দ্রিক বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছেন ব্যবসায়িরা। কক্সবাজারে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ অক্টোবর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে অনেক পরেই শীতের আগাম বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কার্তিক মাসের ২০ তারিখ। নভেম্বরের শুরুতে শীতের মাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে গরম স্বস্থি পর্যায়ে হওয়ায় কক্সবাজারে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে কোন রুম খালী নেই। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ৫০ শতাংশ আসন খালী রেখে আগত পর্যটকদের সামাল দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালেন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১৯ আগস্ট থেকে কক্সবাজারের পর্যটন খুলে দেওয়া হলেও ১৭ আগস্ট থেকেই আসতে শুরু করে পর্যটক। অপরদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা হওয়ায় পর্যটক না আসায় কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে অবস্থিত হোটেলের প্রায় কক্ষই খালি রয়েছে। যার ফলে চাপ বেড়েছে হোটেল-মোটেল জোন এলাকায়।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি। এই সময়ে যা পর্যটকের আগমন ঘটেছে এতেই আমরা সন্তুষ্ট। ৫০ শতাংশ আসন খালী রেখে পর্যটক সমাল দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়া করোন পরিস্থিতিও এখন ভাল। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
সাইমন ব্লু-পার্ল এর তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ইউনুচ জানিয়েছেন, শীতের আমেজ শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। এছাড়া অধিকাংশ রুমই এখন অগ্রীম বুকিং হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনে আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। লকডাউনেই চলে গেছে ৪টি ঈ ও নববর্ষ। আমরা এই মৌসুমটা ভালমত ব্যবসা করতে চাই।
এদিকে পর্যটক বাড়ার সাথে সাথে সবকিছুর চাহিদা বেড়েছে পর্যটন এলাকায়। আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন ব্যবসায়িরা। মাংশ ব্যবসায়ী আবদুর রহিম জানিয়েছেন, শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যে আমরা বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করেছি বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টে। ব্যবসা আবার শুরু হওয়ায় আমরা খুশী।
সুগন্ধা পয়েন্টে মালাই ‘চা’ বিক্রেতা আজিজুল রহমান জানান, আমরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করি। এখন ভালই ব্যবসা হচ্ছে। প্রতিদিন লোক বাড়ছে পর্যটন এলাকায়। পর্যটক বাড়লে ব্যবসায়ও ভাল হয়।
এদিকে পর্যটক সমাগমের কারণে সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সাকের আহমদ জানান- ‘ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার উপরও নজরারি করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত