প্রকাশিত: ০৯/০৭/২০১৭ ১০:২৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:০২ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট :
কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক, জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইতোপূর্বে একাধিকবার গ্রেপ্তার হওয়া ছালাহুল ইসলাম, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নআহবায়ক শফিউল্লাহসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তদন্ত শেষে সাড়ে চার বছর এ অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। চট্রগ্রাম পরিবেশ আদালতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের স্পেশাল পিপি মো: সাইফুল ইসলাম।
যাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন তারা হলেন-কক্সবাজার সরকারী কলেজের পেছনে স্থাপিত ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক হাফেজ ছালাহুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নআহবায়ক শফিউল্লাহ, কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড:শাহ আলমের ছোট ভাই মো: সোলতান, কলাতলী দক্ষিন আদর্শগ্রাম সমিতির সভাপতি জহির সওদাগর, পাহাড়তলী এলাকার মো: সৈয়দ ড্রাইভারের ছেলে আব্দুল হক, আব্দুল মোতালেবের ছেলে মুহিউদ্দিন,মোহাম্মদের ছেলে মো: আমিন,মৃত রশিদ উজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামান, দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার মৃত জামাল আহম্মদের ছেলে মো:আমিন।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার কারনে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম পরিবেশ আদালতে একটি মামলা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী জনস্বার্থে এ মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি(ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন।
মামলার বাদী ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি(ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়া অভিযোগপত্রে একই মামলার এজাহারে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটার এসোসিয়েশনের আহবায়ক মো: বাদলকে বাদ দিয়ে শহরের চন্দ্রিমা গেইট এলাকার সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল হোসেন ও জলিল আহম্মদের ছেলে ফরিদ আহম্মদ কাম্পানী পাহাড় কাটলেও বর্তমানে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তারা কক্সবাজারের বাসিন্দা এবং সবার পরিচিত। তাই তাদেরকে এবং বাদ দেয়া টুয়াকের আহবায়ক বাদলকে চার্জশীটভুক্ত করার জন্য আদালতে দেয়া এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে যা পাওয়া গেছে তাই আদালতে জমা দিয়েছি’। সুত্র দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে নাইক্ষ্যংছড়িতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ...

মিয়ানমারে অস্ত্র ফেলে বিরোধীদের আলোচনায় বসতে অনুরোধ জান্তার

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তার সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র ...

পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নেন জালিয়া পালংয়ের গ্রাম পুলিশের সদস্য জাহাঙ্গীর, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের নিদানিয়া এলাকার খুরশিদা বেগম, বেশ কয়েকবছর আগে স্বামী সুপারি গাছ থেকে ...