ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৪/০৪/২০২৩ ১০:৪৫ এএম

ওমর ফারুক হিরু ::
ঈদ উপলক্ষে আলোকসজ্জায় রাঙ্গানো হয়েছে শহরের মার্কেটগুলো। এসব মার্কেটের বেশকিছু পোশাকের দোকান লাল-নীল বাল্ব দিয়ে লাইটিং করা হয়েছে। চোখ ধাঁধালো এই রঙ্গিন লাইটের আড়ালেই লুকিয়ে আছে প্রতারণার ফাঁদ। এই রঙ্গিন আলোর ফলে বুঝা যায়না পোশাকের আসল রং এবং কোয়ালিটি। নিম্নমানের পোশাকও উন্নতমানের পোশাকের মত চকচকে-উজ্জ্বল দেখায়। এতে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এসব অসাধু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এখন সময়ে দাবী।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে শহরের হকার মার্কেট, ফিরোজা শপিং, হাশেম টাওয়ার, সুপার মার্কেট, জুহুর মার্কেট, কবির মার্কেট, ছালাম মার্কেট, আলমাস ও রেজা প্লাজা সহ বিভিন্ন উপজেলার মার্কেটগুলো। এসব মার্কেটে থাকা বেশকিছু বিপনী বিতানে সাদা লাইটের পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে লাল এবং নীল লাইট। মাকের্টের বড় দোকানগুলোতে রঙ্গিন লাইটের ব্যবহার কম দেখা গেলেও ছোট দোকান সহ হকার মার্কেটে অহরহ। এছাড়া এসব লাইটের বেশি ব্যবহার দেখা যায় শিশু ও জেন্টস আইটেমের দোকানে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, চোখ ধাঁধালো এসব রঙ্গিন লাইটের উজ্জল আলোতে পোশাকের আসল রং বুঝা যায়না। এতে ধূসর রঙ্গের কাপড়ও চকচকে উজ্জ্বল দেখায়। মূলত নিম্ন মানের কাপড় উন্নত মানের দেখাতে এই ফাঁদ পাতা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
শহরের বাহারছড়া সাইফুল ইসলাম রানা নামে এক যুবক জানান, এই প্রতারণা গত ঈদে তার সাথে হয়েছিল। দোকান থেকে কিনেছিল উজ্জ্বল রঙ্গের পাঞ্জাবী। কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি ধূসর রঙ্গের পাঞ্জাবী। পরে ওই অপছন্দের পাঞ্জাবী দিয়েই ঈদ করতে হয়েছে। এর পর থেকেই তিনি সর্তক।
ফাউজিয়া আফরিন নামে এক গৃহবধূ জানান, এই ফাঁদে পড়ে সন্তানদের পোশাক কিনে ঠকেছে। উজ্জ্বল আর চাকচক্যের কারণে নিম্ন মানের কমদামি পোশাক কিনেছে বেশি দাম দিয়ে। সেই থেকে এই ধরনের লাইটিং দোকান এডিয়ে চলেন।
বিক্রেতাদের অনেকে দোকানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই ধরণের লাইটিং করা হয়েছে বললেও কয়েকজন বিক্রেতা স্বীকার করেছেন পোষাকের রঙ্গ ও মান লুকাতে অসাধুরা এমনটা করছে।

রেজা প্লাজার লিয়াতক হোসেন নামে এক পুরাতন ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতাদের এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই অপকর্মটা করছে। পোশাকের রঙ্গ ও মান লুকাতে তারা রঙ্গিন লাইট ব্যবহার করছে। তবে মান ধরে রাখার চেষ্টায় থাকা ব্যবসায়ীরা এমনটা করেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পোষাক বিক্রেতা জানান, এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ভাল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ। তারা মূলত নিম্ন মানের কমদামী কাপড় ভাল মানের বলে বেশি দামে বিক্রির জন্য এই অনৈতিক কাজ করে। আর তা বেশি হয়ে থাকে হর্কার গুলোতে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসান জানান, ঈদের বাজারে ক্রেতা ঠকানো হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ অভিযোগ করলে সাথে সাথে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পোশাকের দোকান ছাড়াও ফল, মাছ ও স্বর্ণের দোকানেও এসব লাইট ব্যবহার করতে দেখা যায়। যাতে করে পচা মাছ ও বাসি ফল তাজা দেখায়। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসেনর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...