
ডেস্ক রিপোর্ট – রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন করে গ্রাম নির্মাণ করছে মিয়ানমার সরকার। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী পুরাতন রোহিঙ্গা গ্রামের অধিকাংশই পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়ায় নতুন করে গ্রাম নির্মাণের প্রয়োজন পড়েছে। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার পর এ গ্রামগুলোতেই তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিটি গ্রামে থাকছে একটি বাজার, একটি স্কুল, একটি পার্ক এবং একটি ক্লিনিক। দেশটির সরকার বারবার বলছে, তারা শরণার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। ১৯টি স্থানে গ্রাম নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। মংডু শহরে আরো ১২টি গ্রাম নির্মাণ আরম্ভ করেছে নেপিইদো প্রশাসন। ২০১৮ শুরুর দিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। তবে এখনও কোন রোহিঙ্গাই রাখাইনে ফেরেনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মিয়ানমার বিভন্নভাবে দাবী করেছে তারা রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইউ কেয়াও টিন্ট সোয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী উইন সিন্ট আয় বারংবার মিয়ানমারের এ অবস্থানের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে রোহিঙ্গা পর্যবেক্ষক ও সমর্থকরা এ বিষয়ে একমত নন। পেনসেলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওয়কা উদ্দিন মনে করেন, নেপিইদো এখনও রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ আবাসনের বন্দোবস্ত করতে সমর্থ্য হয়নি।
মংডুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউ ইয়ে হতো জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দুটি প্রকল্পে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে চলমান ‘মডেল গ্রাম’ প্রকল্পের অধীনে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা। তিনি জানিয়েছেন ১৯টি গ্রাম নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো ১২টি গ্রামের নির্মাণ কাজ চলছে। তবে প্রতিটি গ্রামে কয়টি বাড়ি থাকবে তা জানাননি তিনি। আমাদের সময়
পাঠকের মতামত