প্রকাশিত: ২৪/০৯/২০১৭ ৬:৪৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:০৮ পিএম

চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়া ও তাদের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে আগামী ৬ অক্টোবর কক্সবাজারে মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত ওলামায়ে কেরামের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপত্বি করেন হেফাজত আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী।
সভায় হেফাজত আমীর মিয়ানমারের আরাকানে মুসলমানদের ওপর পৈশাচিক গণহত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়ন বন্ধ এবং নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদের আরাকানে ফেরত নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় আরাকানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা একান্ত প্রয়োজন। মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বিশ্বসংস্থা ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নৈতিক দায়িত্ব।
আরাকানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্যে নিরাপত্তা জোন তৈরি করতে হবে। মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সাম্প্রদায়িক মানবতার পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংস গণহত্যা পরিচালনার দায়ে এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের কারণে থেইন সেইন সরকার ও অং সান সুচিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজত মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারীর শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী, ঢাকা মহানগরীর মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, খুলনার মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলান সরোয়ার কামাল আজিজী, ককসবাজার জেলার সহসভাপতি মাওলানা হাফেজ সালামতুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াছিন হাবিব, মাওলানা হাফেজ মুবিন, উত্তর জেলার মাওলানা মীর মোহাম্মদ ইদরিস, হাফেজ মোহাম্মদ ফায়সাল, মাওলানা সরোয়ার কামাল, মাওলানা মোহাম্মদ লোকমান প্রমুখ।
এ সময় হেফাজত নেতারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা চিন্তা করে শরণার্থী ক্যাম্পে মসজিদ, মক্তব, মাদরাসা নির্মাণ, টিউবওয়েল বসানো এবং টয়লেট নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া বিভিন্ন মিশনারি এনজিওগুলো যেন সেবার অন্তরালে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করতে না পারে তার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখারও আহবান জানানো হয়।

পাঠকের মতামত

শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে পোস্ট, এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা ...

আলোচিত স্কুলছাত্রী টেকনাফের তাসফিয়া হত্যা: এবার তদন্ত করবে পুলিশ

চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ...