নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪/১১/২০২৪ ১১:৫০ এএম

উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক‌্যাম্পসহ সর্বত্র এক ভয়াবহ নেট ওয়ার্কের (অনলাইন জোয়া) ওয়ানএক্স বিটের ছায়াতলে হাজারও ছাত্র, যুবক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জিবন ধবংস করছে মাষ্টার এজেন্ড রোহিঙ্গা ক‌্যাসিনো সম্রাট কুতুপালং ক‌্যাম্প :০১ জি ব্লকের মুহাম্মুদুল্লাউর দুই ছেলে আনাস খাঁন ও তার ছোট ভাই ইমরান খাঁন।

পুরো উখিয়া উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক‌্যাম্প ভিত্তিক অনলাইন ক‌্যাসিনো সম্রাট আনাস খানের মাধ‌্যমে একাধিক সাব এজেন্ড জোয়ার টাকা লেনদেন করার অভিযোগ উঠেছে। এই অনলাইন জোয়ার প্রভাবের কারনে টাকা যোগার করতে গিয়ে নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্র, যুবকরা ও রোহিঙ্গারা। আবার কেও কেও জোয়ার টাকা জোগার করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অপহরন ও খুনের ঘটনায়ও যা সত‌্যিই দুঃখজনক , এই অনলাই জোয়ার মাষ্টার এজেন্ড রোহিঙ্গা আনাস খাঁন(২৭)’কে গ্রেফতারের জন‌্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে উখিয়ার সুশিল সমাজ।

অনলাইন ক‌্যাসিনোর আসক্ত হয়ে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ জড়াচ্ছে এসব অনলাইন জোয়ায়। এই অনলাইন জোয়া বন্ধ না করলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ এক সময় ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে বলে আসংকা করছে সুশিল সমাজ।

এক অনলাই জোয়ার খেলোয়ার এ প্রতিবেদককে জানান, অনলাইন জোয়ার মাষ্টার এজেন্ড রোহিঙ্গা আনাস খাঁনের কাছ থেকে আমরা টাকা দিয়ে আইডি রিচার্জ করি। ওর হোয়াটসআপএ টাকা বিকাশের মাধ‌্যমে পাঠালে সে আমার আমাদের টাকা লোড করে দে। আর আমরা যদি খেলে টাকা পাই তাহলে তার এজেন্ডএ উইড্রো করলে সে আমাদের বিকাশ কিংবা নগদে ভরেদে।

এই দিকে ক‌্যাসিনো সম্রাট আনাস খাঁনের লেনদেনের অনেক তথ‌্য সাংবাদিকদের হাতে আসছে যা সত‌্যিকারের ক‌্যোসিনো সম্রাট হিসাবে প্রামাণ আদালতে পেশ করা হবে।

অন‌্যদিকে স্থানীয় এক কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, অনলাইন ক‌্যাসিনো সম্রাট রোহিঙ্গা আনাস খাঁন এখন ক‌্যাসিনো সম্রাট হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্টা করে ফেলেছে। জমননে এখন একটাই প্রশ্ন একজন রোহিঙ্গা যুবক হয়ে সে এভাবে যুবক ও ছাত্রদের জীবন নষ্ট করার দুঃসাহস কেমনে পাই।

তিনি আরো বলেন, ক‌্যাসিনো সম্রাট অনলাইন সম্রাট আনাস খাঁন’কে গ্রেফতার করতে র‌্যাব ও থানা পুলিশের কাছে আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত আনাস খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব‌্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।

প্রশাসনের একাদিক সুত্র বলছে, উঠতি বয়সি কিছু যুবকদের লোভ লালসা দেখিয়ে হঠাৎ কোটিপতি হওয়ার উৎসাহ জাগিয়ে এসব জোয়ায় আসক্ত করাচ্ছে কিছু রোহিঙ্গা যুবক ও স্থানীয় মুখোশধারী জোয়ার সিন্ডিকেটের সদস‌্যরা। যার ফলে রোহিঙ্গা যুবক ও ছাত্ররা অবৈধ কারবারসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অনেকের তথ্য হাতে নাতে পাওয়া গেচে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত

৪০০ পিস ই’য়া’বাসহ আ’ট’ক বৈষ’ম্যবিরোধী ছাত্র আ’ন্দোলনের ৩ নেতা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৪০০ পিস ই’য়া’বাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন ছাত্র প্রতিনিধিকে আ’ট’ক করেছে ডিবি পুলিশ। ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’, মৃত্যু কমলেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। শীত মৌসুমেও এই দুই উপজেলার ...