মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মুখে বাংলাদেশের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার ভোরে ৩টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাকে স্বাগত জানান।
শাহরিয়ার আলম জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক সংঘাতে বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে সকালে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবেন এবং বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন।
এসময় তার সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার।
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরে ফার্স্ট লেডি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ফোন করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকেও হুঁশিয়ার করেছেন।
এছাড়াও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি একে ‘গণহত্যা’ বলেও উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশন ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করলে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
এরপর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার গানশিপের ব্যাপক ব্যবহার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এতে মিয়ানমার সরকারের হিসাবে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত শত শত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে এসেছেন।
অবশ্য চলতি মাসের শুরুতে রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। ঘোষণা দেয় অভিযানের। এরই মধ্যে গ্রামের পর গ্রাম রোহিঙ্গাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বর্মি সেনাদের গণহত্যার বদলা নিতেই রোহিঙ্গা স্বাধীনতাকামীরা পুলিশ পোস্টে হামলা ও একটি সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে।
পাঠকের মতামত