প্রকাশিত: ০৯/০৯/২০১৭ ১০:৩৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৪৮ পিএম

এম বশর চৌধুরী, উখিয়া::
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে মায়ানার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিকট হইতে গরু ছাগল ও মহিষ ছিনতাই ও চাঁদা দাবীর ঘটনা বেড়ে চলছে। এক শ্রেনীর উঠতি বয়সের বেকার যুবক এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। প্রতি নিয়ত চাঁদা দাবী ও গরু ছাগল ছিনতাইর ঘটনায় আইন শৃংখলার মারাত্মক অবনতির আশংকা রয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় হোয়াইক্যং বাজারের জাফর চৌধুরীর অফিসের সামনে চাঁদার দাবীতে সন্ত্রাসী হামলায় ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- হোয়াইক্যং গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে তোফাইল চৌধুরী (৪০)। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুর্হুতে আরো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানার থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মায়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, কাটাখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। উদবাস্ত এসব রোহিঙ্গা শরনার্থীরা নিজের জীবন বাজী রেখে তাহাদের পালিত গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশের আসার পথে এক শ্রেনীর বেকার যুবক ও মাস্তান প্রকৃতির লোক তাদের গরু ছাগল ও মহিষ ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে কম মূল্যে রোহিঙ্গারা গরু, ছাগল মহিষ বিক্রি করায় স্থানীয় লোকজন তাহা ক্রয় করলে তাহাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবী করা হয় এবং দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয়। হোয়াইক্যং গ্রামের আব্দুর রহিম অভিযোগ করে জানান, হোয়াইক্যং গ্রামের গরুর ডাক্তার বেলাল ও জসিম চৌধুরী একটি সিন্ডিকেট গঠন করে গরু ছাগল ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত গরু ছাগল ছিনতাই ও চাঁদা আদায়ের সাথে জড়িত রয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে তাহারা রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে হোয়াইক্যং টাওয়ার পার্শ্ব হইতে ১৭ টি ছাগল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে জনৈক আলমগীর চৌধুরী তাদের ছাগল গুলো উদ্ধার করে মালিকের নিকট তুলে দেন। আব্দুর রহিম আরো অভিযোগ করেন, সে কয়েকটি গরু হোয়াইক্যং এলাকা থেকে ক্রয় করে। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় হোয়াইক্যং বাজারের জাফর চৌধুরীর অফিসের সামনে গরুর ডাক্তার বেলাল এবং জসিম চৌধুরী পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়া তাহাকে এবং তার সাথে থাকা তোফাইল চৌধুরীকে আক্রমন করে মারধর করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। অভিযুক্তদের বক্তব্য জানার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্ট করে পাওয়া যায় নাই। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী চাঁদা দাবী ও ছিনতাই কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

পাঠকের মতামত