প্রকাশিত: ১৩/০৯/২০১৭ ৭:২২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩৯ পিএম

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্তবাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার রূপা খাতুনের মৃত্যু আঘাতের কারণে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। তাছাড়া হত্যা করার আগে তাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।

রূপার মরদেহ ময়নাতদন্তকারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তার প্রতিবেদনে একথা উল্লেখ করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে সমকালকে তিনি জানান, বড় ও শক্ত কিছু দিয়ে রূপার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহৃ ছিল। তাছাড়া হত্যা করার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে বলে জানান রূপার মরদেহ ময়নাতদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মেডিকেল কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান।

মেডিকেল কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেদনটি টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে শ্রমিকরা। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকার ২৫ মাইলে ফেলে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে।

রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোয়া পরিবহনের ওই বাসের চালক হাবিবুর (৪৫), বাসের কনটাক্টর সফর আলী (৫৫) এবং হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে।

পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে।

এদিকে, বোনের লাশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করেন রূপার ভাই হাফিজুর রহমান প্রামানিক। পরে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করে টাঙ্গাইলের প্রশাসন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার রাজনীতি করেছে: ফারুক

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার রাজনীতি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ...

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুড়ার সেই শিশুটি

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ...