ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৯/০৯/২০২৩ ৬:৩৪ পিএম

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার
কক্সবাজারের রামু ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধপল্লির ২৬টি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন পুড়িয়ে দেওয়া হয় উখিয়া-টেকনাফের আরো ৭টি বৌদ্ধ বিহার।

সম্প্রতি রামু সীমা বিহার বৌদ্ধ মন্দির ঘুরে দেখা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নিরাপত্তা জোরদারসহ মনোরমভাবে সাজানো চারপাশের পরিবেশ। পূজা-অর্চনায় মগ্ন ধর্মভীরু লোকজন। বৌদ্ধরা বললেন, তারা এখন ভালো আছেন। সব ধর্মের মানুষের সাথে মিলে মিশে থাকেন।

রামুর কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক অধ্যক্ষ প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো বলেন, রামুর ধর্মীয় সম্প্রীতিতে যারা আঘাত হেনেছিল তারা সফল হয়নি। যে ক্ষতের তৈরি হয়েছিলো, ১১ বছরে আমরা সবাই মিলে তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। তবে দুঃখের বিষয় হলো হামলার ১১ বছর হলেও ওই ঘটনার হামলাকারীদের পরিচয় এখনো অজানা।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, মামলার সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে না চাওয়ায় মামলার নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবেও আমি অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

হামলার ঘটনায় রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মামলা হয়। এতে এজাহারভুক্ত ৩৭৫ জনসহ ১৫ হাজার ১৮২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে আপোসের ভিত্তিতে একটি মামলা প্রত্যাহার হলেও বাকি ১৮ মামলায় ৯৯৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা।

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে রামুর বৌদ্ধবিহার ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।

ওই দিনের হামলায় কয়েকশ বছরের প্রাচীন ১২টি বৌদ্ধবিহার ও ২৬টি বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বৌদ্ধবিহার ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িগুলোতে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...