
উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজারের রামু উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি ইউনিয়ন গর্জনিয়ার দু’সহোদর শিশু হাসান-হোসেন হত্যা মামলার অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ (২৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের জেল গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শহিদুল্লাহ গর্জনিয়া বড়বিল ওয়ার্ডের আবদুল মাবুদ (মধু)’র ছেলে।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ মে. রুহুল আমিন জানান, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারী গর্জনিয়া বড়বিল এলাকার চাষি ফোরকান আলীর দু’ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১১) ও মোহাম্মদ হোসেন (৮) কে অপহরণ করে একই এলাকার টুইল্যা’র নেতৃত্বে ১০-১৫জনের একটি চক্র। তারা দু’ভাইকে গভীর বনে নিয়ে যায়। রাতে মুঠোফোনে ফোরকানের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। ঘটনাটি জানার পর এলাকাবাসী জড়ো হয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করলে অপহরণকারীরা হাসান ও হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ‘শিয়া পাহাড়’ নামের একটি পাহাড়ে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।
এদিকে, হাসান-হোসেন হত্যার পর মামলা হলে পুলিশ পর্যায়ক্রমে ১২ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু সম্প্রতি ৮ জন আসামি জামিনে বের হয়ে পলাতকরাসহ জড়ো হয়ে নিহত হাসান ও হোসেনের পিতা-মাতাকে মামলা তুলে নিতে বলে। অন্যতায় পুরো পরিবারকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকি দেয়। এতে আতংকিত হয়ে ফোরকান পরিবার নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্রে পালিয়ে যায়। অমানবিক এ বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হবার পর নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। এর ফলে অভিযুক্ত শহিদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হলো।
রামু থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। বাকি আসামিদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
পাঠকের মতামত