প্রকাশিত: ০৬/০৪/২০১৭ ১০:১৩ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত হয়েছেন ১০১ জন প্রার্থী। অথচ কয়েক লাখ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পিএসসির সুপারিশ পেয়েছিলেন তারা। এর মধ্যে বেশিরভাগই রাজনৈতিক কারণে নিয়োগ পাননি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দৈনিক যায়যায়দিন ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ বঞ্চিত বিসিএসের ১০১ প্রার্থী ’শিরোনামে এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা এখন হতাশ হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সুযোগ বুঝে মন্ত্রণালয় ও পিএসসির দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা নিয়োগবঞ্চিত এসব প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন

জানা যায়, নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি গ্রুপ হলো মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী। তাদের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে সনদ পেলে শিগগির গেজেট প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় গ্রুপে আছেন তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের নামে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বা ছোটখাটো কোনো মামলা-মোকদ্দমা আছে ওইসব প্রার্থী। এদের বিষয়ে শিগগির আবার পুনঃতদন্ত করা হবে।

তৃতীয় গ্রুপে আছেন পেইনডিং (বিচার-বিবেচনাধীন) ভুক্ত প্রার্থীরা। এদের বিষয়ে কবে সিদ্ধান্ত হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়।

তবে পুনঃতদন্তের জন্য এবার সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সকে (ডিজিএফআই) দায়িত্ব দেয়া হতে পারেন চাকরি। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হয়েছিল।

নিয়োগবঞ্চিতদের করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক পত্রিকাটিকে বলেন, নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীদের এখন আর করার কিছুই নেই। যে কোনো একটা কারণে তাদের নিয়োগ হয়নি। তবে অনেক সময় পরে এটা ঠিক হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এজন্য তাদের কিছুই করতে হবে না। যদি হয়, তাহলে এমনিতেই হয়ে যাবে। মূলত তাদের যে সমস্যার কারণে গেজেট হয়নি, সে সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে পরবর্তীতে আবার গেজেট প্রকাশ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি একটি গোপনীয় বিষয়। এ বিষয়ে পরিষ্কার করে তেমন কিছু বলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে দুই হাজার ১৭৪ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে ১৭ আগস্ট ২০১৬ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর বিভিন্ন ক্যাডার পদে তাদের নিয়োগ দেয়ার জন্য ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে আবেদন প্রেরণ করে পিএসসি। গত ২ এপ্রিল পিএসসির সুপারিশপ্রাপ্ত তালিকা থেকে ১০১ জনকে বাদ দিয়ে দুই হাজার ৭৩ জনের গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পাঠকের মতামত

র‍্যাগ ডে’র পরিবর্তে নসীহা প্রোগ্রাম করে প্রশংসায় ভাসছে শিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদায় অনুষ্ঠানে নাচ-গানের মাধ্যমে র‍্যাগ ডে পালনের এক নতুন কালচার চালু ...

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন কক্সবাজারের সন্তান রেজাউল

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়রাম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ...