প্রকাশিত: ২৭/০৮/২০১৭ ১০:৪০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:২৯ পিএম

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আশ্রয় নিচ্ছে শরনার্থী শিবিরসহ আশ-পাশের লোকালয়ে।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দাতাদের প্রতিরোধে এবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

কোনো রকমে মিয়ানমার সীমান্ত ডিঙিয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে ঢুকতেই পারলেই হলো। মিয়ানমারের নাগরিক এসব রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশের সুযোগের পাশাপাশি গোপনে আশ্রয় দেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে অনেকে। টমটমে করে অবলীলায় চলে আসছে টেকনাফ এবং উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। সেখানেই মিলে যাচ্ছে প্রাথমিক আশ্রয়। মিয়ানমারে শাসকের নির্যাতনে ঠিকতে না পারে তারা যেমন বাংলাদেশে চলে আসছে। আবার নানা অজুহাতে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে আগে থেকে শরনার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা।

কুতুংপালং অনিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরে থাকা জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে যারা পালিয়ে আসছে তাদের আমরা থাকতে দিচ্ছি। কারণ এদের আমরা থাকতে না দিলে যাবে কোথায়?

রহিম উদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, নতুন করে মিয়ানমার থেকে যারা আসছে তাদের কিছু আত্মীয়-স্বজন কুতুংপালং ক্যাম্পে আগে থেকে বসবাস করছে তাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। এখন অধিকাংশ অনিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের বস্তিতে তারা একজন দুজন করে রয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

বিজিবি’র ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুর হাসান খান বলেন, জাতিগত দাঙ্গা এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। মিয়ানমারে যে জাতিগত সমস্যা রয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে। এখানে আমাদের কিছু করার বা বলার নেই। তবে মিয়ানমারে নির্যাতনের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, সব কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের বলা আছে যদি চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাদের পরিচয় সনাক্ত করে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হবে।

রোহিঙাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রশাসন। এ অবস্থায় অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাড়া-মহল্লায় বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। সে সাথে চিহ্নিত করা হবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতাদেরও।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গারা যেন কোনো ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেভাবে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ গোয়েন্দা নজর রাখছি এই ব্যাপারে।

গত বছরের অক্টোবরে এধরণের জাতিগত সংঘাতের মুখে মিয়ানমারের আরকান রাজ্যসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এখন পর্যন্ত যেমন তাদের শনাক্ত করা যায়নি, তেমনি ব্যবস্থা নেয়া যায়নি নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...