নিউজ ডেস্ক::
প্রতিদিন পুরো শহরজুড়ে অন্তত শতাধিক ফেরিওয়াল বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় বিক্রি করছেন। এসব কোমল পানির বোতল থেকে কৌশলে মেয়াদ লেখা জায়গাটি ঘষামাজা করে অস্পষ্ট করে দেওয়া হয়। আবার কখনো মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখটি পুরোপুরি মুছে দেওয়া হয়। ক্লান্ত পথিকরাও বেশি তৃষ্ণার্থ থাকায় মেয়াদ ও মান যাচাই না করেই এসব পানীয় পান করছেন।
আর এ সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় হকারদের দিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পানীয় বিক্রি কারাচ্ছেন মহাজন নামধারী ব্যবসায়ীরা। চিকিৎসকদের মতে, এসব পানীয় পান করে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী।
পথচারী ও যাত্রীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করা ছাড়া প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কাজ করা সম্ভব নয়। আর এসব বোতলে মেয়াদের তারিখ এত ছোট করে লেখা থাকে যে তা যে কোনো বয়সী মানুষের পক্ষে খালি চোখে দেখা খুবই কষ্টকর। পানীয়গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও চকচকে মোড়ক আর ঠান্ডা মুখরোচক হওয়ায় কোনো ধরনের সন্দেহ ছাড়াই পান করছেন তারা।
গত বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মগবাজার, তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, এয়ারপোর্ট ও মিরপুর এলাকায় অনুসন্ধানে দেখা যায়, হকার বা ফেরিওয়ালাদের কাছে থাকা পানি-জুসসহ কিছু কিছু পণ্যের দু’এক মাস মেয়াদ থকতে দেখা যায়। এগুলোর ভেতরে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য লুকিয়ে রেখে বিক্রি করছে তারা।
এসব মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয় পান করলে মানব দেহে বিরূপ পড়বে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক মুন্সি মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, সব ধরনের খাবারই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আর কোমল পানীয়তে সমস্যা আরও বেশি। পানীয় জাতীয় খাবারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এগুলো কেউ পান করলে ডায়রিয়া, কলেরাসহ দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস্টিক বা আলসার হতে পারে। আর অনেক ক্ষেত্রে জুস জাতীয় পানীয় মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ফরমালিনের মতো বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সূত্র:যায়যায়দিন
পাঠকের মতামত