প্রকাশিত: ২৪/১১/২০১৯ ১০:১১ এএম , আপডেট: ২৪/১১/২০১৯ ১০:২৮ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছাকাছি একটি ক্যাম্প থেকে নৌপথে ইয়াঙ্গুন পালানোর সময় ২২ রোহিঙ্গা মুসলিমকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। এইয়ারওয়াদি পুলিশের বরাতে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে পালাতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি তাদের টহল এলাকায় এসে যান্ত্রিকত্রুটির কবলে পড়ে যে কারণে নৌকার আরোহীরা নিকটস্থ সৈকতে নামতে বাধ্য হয়। তখন পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র তুন সুয়ে এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই নৌকার আরোহী ২২ রোহিঙ্গা মুসলিমের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। আটককৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সিত্তের কাছাকাছি থেতক্যাপিন ক্যাম্প থকে পালিয়ে তারা চারদিন ধরে ভাসছিলেন। কাজের খোঁজে তারা ইয়াঙ্গুনে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন।

এদিকে, কয়েকমাসের ব্যবধানেই পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুইটি দলকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে মিয়ানমারের পুলিশ। কয়েকদিন আগে, ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমের পালিয়ে আসা আরেকটি দলকে আটক করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছিল মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তবে সর্বশেষ আটক হওয়া রোহিঙ্গাদেরকে আবার তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে নাকি বিচারের মুখোমুখি করা হবে সে ব্যাপারে পুলিশের ওই মুখপাত্র এখনই কিছু জানাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা মুসলিমদের এমনিতেই মিয়ানমারে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। তাদের অনেকেরই মিয়ানমারে পূর্বপুরুষের বংশ পরম্পরা থাকলেও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির জনগণ তাদের বাংলাদেশের নাগরিক বলে মনে করেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নির্মূল অভিযানের নামে চালানো গণহত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ এবং বর্বরোচিত সেনা অভিযানের মুখে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। মিয়ানমারের সীমানা সংলগ্ন কক্সবাজার জেলায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইতোমধ্যেই কয়েকদফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে তা আলোর মুখ দেখেনি। রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাদবাকী একটি বৃহৎ অংশ এখনও মিয়ানমারে অবস্থান করছে। তারা সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে, ঝুঁকি নিয়ে ও চড়ামূল্যে পালিয়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন।

উল্লেখ করা যায়, ২০১২ সাল থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তার প্রেক্ষিতে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে কিছু ক্যাম্পে তাদেরকে রাখা হয়। আধুনিক জীবনের বিভিন্ন অনুষঙ্গ ব্যতীত বসবাস করতে তাদের বাধ্য করা হয়।
সারাবাংলা

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...