প্রকাশিত: ০৬/১০/২০১৭ ৬:৩১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৩৭ পিএম

শফিক আজাদ,উখিয়া নিউজ ডটকম::
২৭ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০টার সময় সশস্ত্র মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি ১০/১৫জন সদস্য আমাদের বাড়ী গিয়ে প্রথমে বাবা’কে বেঁধে রেখে মা’কে আমাদের সামনে বিবস্ত্র করে নানান নির্যাতনের পর মা’কে গুলি করে হত্যা করে মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর সদস্যরা। তখন আমার মা ৮ মাসের আত্মসত্ত্বা ছিল। বর্বর সেনা ও বিজিপি’র সদস্যরা আমার মা’য়ের পেটে ছুরিকাঘাত করে গর্ব থেকে সেই শিশুকে বের করে ফেলে। ওই সময় বাবা চিৎকার দিয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমার বাবা’কে বেধড়ক মারধর করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং আমাকে সহ টানা হেচড়া করে ঘর থেকে বের করে আর পেছনে ফেরা সম্ভব হয়নি। মা’য়ের রক্তাক্ত লাশ আর গর্ববের ভাইকে ফেলে জীবন বাঁচাতে আমি আর বাবা ওই রাতে রওয়ানা হই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ ৭দিন পাহাড়ে-বনে-জঙ্গলে অনাহারে অনাধারে পায়ে হেটে পৌছি কোয়াংছিবন সীমান্তে। সীমান্তের পরিস্থিতি বুঝে বাবা’ আমাকে নিয়ে আঞ্জুমানপাড়া হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। বর্তমানে আমরা কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের্^ ঝুপড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। বাবা আর আমি ছাড়া আর নেই পরিবারে। এমন কথা গুলো বলছিলেন আইয়াতুল্লাহ নামে ৭বছরের এক শিশু। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তার সাথে এ প্রতিবেদকের দেখা হয় টিভি রিলে কেন্দ্রে সামনে অন্যান্য রোহিঙ্গা শিশুদের সাথে খেলার চলে। তার বাবার নাম মোঃ শামশুল আলম, মায়ের নাম ছিল দিলবাহার। তারা মিয়ানমারের বলিবাজার ধুমবাই এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার অনেক ধন সম্পদ ছিল মিয়ানমারে কিন্তু সেদিকে না থাকিয়ে কোন রকম জীবন রক্ষার্থে আমরা বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হই।

পাঠকের মতামত

শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে পোস্ট, এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা ...

আলোচিত স্কুলছাত্রী টেকনাফের তাসফিয়া হত্যা: এবার তদন্ত করবে পুলিশ

চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ...