![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2017/10/183517_1.jpg)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে আমরা আশা করছি তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। এ ব্যাপারে মায়ানমারের সর্বোচ্চ মহল থেকে আশ্বাস পেয়েছি।
বুধবার সন্ধ্যায় তিন দিনের মায়ানমার সফর শেষে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আলোচনা শুরু করে এসেছি। বাকিটা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে সম্পন্ন হবে। মায়ানমারের মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই বিষয়টি এবারো আলোচনায় এসেছে। ওই কমিটিতে দুই দেশের সমানসংখ্যক সদস্য থাকবে। এই কমিটি গঠনে মায়ানমার রাজি। এ ব্যাপারে শিগগির কাজ শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সু চি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
এর আগে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে আলোচনার জন্য গত সোমবার মায়ানমার সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) প্রতিনিধি দলে ১০ জন ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তারা দেশে ফিরে আসেন।
সফরকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ দেশটির দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে তারা সম্মত বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। একই ইস্যুতে আলোচনার জন্য শিগগির মায়ানমার সফরে যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মায়ানমার পৌঁছান। দেশটির সরকারের আমন্ত্রণে সোমবার বিকেলে তারা ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসময় তাদের স্বাগত জানান ডেপুটি মিনিস্টার অব হোম অ্যাফেয়ার্স অব মায়ানমার মেজর জেনারেল আং সু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানিয়েছেন, গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আমাদের অমীমাংসিত কিছু এজেন্ডা ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। মূল যে এজেন্ডা যেটার জন্য আমরা যাচ্ছি। সেটা হলো আমাদের দেশে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়া। কত তাড়াতাড়ি তাদের (রোহিঙ্গা) আমাদের দেশ থেকে নেয়া হবে সেটাই থাকবে আমাদের মূল এজেন্ডা। তাদের (মায়ানমার সরকার) প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা এমন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন যাতে রোহিঙ্গারা নিজেদের আবাস ত্যাগ করে আমাদের এখানে আর না আসে।
পাঠকের মতামত