
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হককে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় আজ রবিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হবে। ৮ বছর আগে ২০১৩ সালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে তাকে খুলনায় আনা হয়।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, এজন্য কারাগার থেকে আদালত এলাকা পযন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আদালতে দাখিল করা মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেপ্তার করা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। সে সময় তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ঘটনায় এসআই আলমগীর কবীর বাদী হয়ে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে ২২ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ২৩।
চার্জশিটে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারিদের নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পাঠকের মতামত