ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/০৭/২০২৪ ১০:৫৬ এএম

৪ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গা নারীকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড, একইসাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামী হচ্ছে-কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৯ নম্বর শরনার্থী ক্যাম্পের ব্লক-ডি/২ এর মৃত রশিদ আহমদের স্ত্রী, মৃত আবদুস শুক্কুর ও মৃত ইসলাম খাতুনের কন্যা রোহিঙ্গা জুলেখা (এফসিএন নং-৬০০০৯৯)। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন একই আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল কাসেম।
২০২২ সালের ১১ এপ্রিল কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম উখিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে এক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী জুলেখাকে আটক করে। পরে তার হেফাজত থেকে ৪ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উখিয়া থানা পুলিশের এসআই সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রোহিঙ্গা শরনার্থী জুলেখাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নম্বর : ৪৬৬/২০২২ (উখিয়া থানা)।

মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজার সিজেএম আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা, আসামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ মামলার সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে মঙ্গলবার রায় প্রচারের দিন ধার্য্য করা হয়। রায় প্রচারের দিনে কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(খ) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে আসামী রোহিঙ্গা নারী জুলেখাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড, একইসাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শহীদুল ইসলাম জানান, দন্ডিত আসামী রোহিঙ্গা নারী জুলেখা আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর পলাতক রয়েছে।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী এপিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল কাসেম এ রায় সম্পর্কে বলেন, আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য প্রমাণ, তথ্য উপাত্ত উত্থাপন করে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্র পক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ রায়ে মাদক কারবারী, বিশেষ করে রোহিঙ্গা অপরাধীদের কাছে একটা ম্যাসেজ যাবে বলে এপিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল কাসেম মন্তব্য করেন।

পাঠকের মতামত

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এখন কক্সবাজার দুদকের উপ-পরিচালক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ...

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...