উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ০২/০৫/২০২৫ ৮:৩০ পিএম , আপডেট: ০২/০৫/২০২৫ ৮:৩২ পিএম

বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে ‘মহিষের লড়াই’ এক ধরনের বিনোদন হিসেবে প্রচলিত। অথচ এই তথাকথিত ঐতিহ্য কেবল বিনোদনের মোড়কে পশুদের প্রতি চরম নিষ্ঠুরতা এবং সহিংসতা বৈ কিছু নয়। দুটি নিরীহ পশুকে মুখোমুখি দাঁড় করে দিয়ে শত শত মানুষ রক্তাক্ত তামাশা দেখে উল্লাসে মেতে ওঠে৷

এ ধরণের লড়াইতে পশুরা শারীরিকভাবে গুরুতর জখম হয়, অনেক সময় প্রাণও হারায়। অথচ পশুর প্রতি সহানুভূতি এবং ন্যূনতম নৈতিক দায়িত্ববোধ থাকা যে কোনো সভ্য সমাজের পরিচায়ক। এই নিষ্ঠুরতা কোনো সংস্কৃতি নয়, বরং আমাদের মানবিকতা ও আইনবিধির পরিপন্থী।

প্রিয় নীতিনির্ধারকগণ, এ ধরণের অনৈতিক বিনোদন বন্ধে আপনারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। অনেক দেশে এই ধরণের প্রাণী নির্যাতন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ৷ আমাদের দেশেরও পশু কল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী, পশুর প্রতি সহিংসতা দণ্ডনীয় অপরাধ—এই আইন যেন শুধু কাগজে না থেকে বাস্তবে প্রয়োগ হয়।

সচেতন নাগরিকদের উচিত সোশ্যাল মিডিয়ায়, স্থানীয় পর্যায়ে এবং প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে এনে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সামাজিকভাবে এ ধরনের কাজকে নিরুৎসাহিত করা উচিত৷ মনে রাখবেন, আপনি, বন্যপ্রাণী বা গৃহপালিত প্রাণী কেউই নিষ্ঠুরতার শিকার হবার জন্য পৃথিবীতে আসেনি।

পশুর প্রতি সহানুভূতি আমাদের সভ্যতার পরিমাপক। আসুন, ঐতিহ্যের নামে অমানবিকতা বন্ধ করি এবং একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তুলি।

ছবির দৃশ্য: এটি আমাদের কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার মহিষের লড়াই নামক অবৈধ বা অনৈতিক একটি ঘৃণ্য মানসিকতার অংশ। ছবিতে দুটি মহিষকে দেখা যাচ্ছে যারা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে প্রায়ই লুটিয়ে আছে, তীব্র লড়াইয়ে আহত হয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে একটি প্রাণীর প্রতি সহিংসতা বা নিষ্ঠুর আচরণের দৃশ্য৷

মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ
ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

পাঠকের মতামত

“নিহত স্বপ্নের গোরস্থান”

মোহাম্মদ আইয়ুব:: মাস্টার খোরশেদ আপাদমস্তক একজন মেধাবী মানুষ। বাল্যকালে শিশু শ্রেণিতে পড়াকালীন শিক্ষকরা বাল্যশিক্ষা বই’র ...